ওয়াকফ প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাঝে কলকাতায় এক বাস থেকে গেরুয়া পতাকা খুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো (পৃথকভাবে সত্যতা যাচাই করেনি ইনিউজ বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। এই বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভর্মা। তিনি জানান, সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর কথায়, কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) এই ঘটনার তদন্ত করছেন। সেই তদন্ত সম্পন্ন হলে রিপোর্ট দেবেন ডেপুটি কমিশমনার।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, বাসের সামনে লাগানো একটি গেরুয়া পতাকা খুলে ফেলছেন এক ব্যক্তি। সেই বাস ঘিড়ে আছে বহু মানুষ। সেই পোস্ট করে শুভেন্দু লিখেছিলেন, ‘যে কলকাতা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভূমি, সেখানে ভয়ংকর দৃশ্য ধরা পড়ল। যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। স্বামীজি এই সম্প্রীতি ও সহনশীলতার হয়ে সওয়াল করেছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাধাহীনভাবে এরকম কাজ হয়। আর পুলিশে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখে। আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি কোন শ্রদ্ধা কোথায়?’ বঙ্গ বিজেপির মিডিয়ার কো-ইনচার্জ কেয়া ঘোষ অভিযোগ করেছেন, গেরুয়া পতাকা খুলে নেওয়ার পাশাপাশি অশ্লীল ভাষাও প্রয়োগ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের জবাব চেয়েছেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
এদিকে এই নিয়ে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও সরব হয়েছিলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘গেরুয়া কেবল একটি রঙ নয় – এটি অস্তিত্ব ও প্রতিরোধ উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করে। স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী প্রণবানন্দ এবং মানবতার সেবায় তাঁদের জীবন উৎসর্গকারী অসংখ্য সাধু গর্বের সঙ্গে গেরুয়া পরেছিলেন। আমাদের জাতীয় পতাকায় সাহস ও ত্যাগের প্রতীক গেরুয়া রং। এখন কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু হওয়া অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে?’