মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে বিজেপির দিকে সরাসরি আঙুল তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ‘বিজেপির এজেন্সি’ সেখানে উস্কানি দিয়ে হিংসা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তিনি সুকান্ত মজুমদারকেও তোপ দেগেছেন। দাবি করেছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন। এদিকে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তোলায় মণিপুরের উদাহরণ টেনে আনেন কুণল। এদিকে তৃণমূল নেতা আরও দাবি, সংশোধিত ওয়াকফ আইনটাই বিজেপির প্ররোচনা। উল্লেখ্য, এই আইনের বিরোধিতাতেই আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পেরে জেলা প্রশাসন নিজেরাই বিএসএফের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখানে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়করাই পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। সেখানে কুণাল ঘোষ দেখতে পাচ্ছেন ‘গভীর ষড়যন্ত্র’।
কুণাল বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, বিজেপি যেটা চাইছে… যেটা করাচ্ছে… সেটাকে রাজনীতির ইস্যু করে তারাই আবার আদালতে যাওয়ার কথা বলছে। অর্থাৎ মানুষের আবেগকে প্ররোচনা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে বিপথে চালিত করছে। বিভিন্ন এজেন্সিকে রাজে লাগিয়ে সেই এলাকায় প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে এবং অস্থিরতা তৈরি করে সেটা নিয়ে আবার রাজনীতি করা হচ্ছে। তারপর আজালতে যাচ্ছে তারা। ধর্মীয় ভেদাভেদমূলক বিবৃতি দিচ্ছে। এই সব বিজেপিই করছে কি না, সেটাও তদন্তের বিষয় ৷ আমরা বারবার বলছি, যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, আন্দোলন করছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখুন ৷ আপনারা বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দেবেন না ৷ বিজেপি আপনাদের উত্তেজিত করছে ৷’
এদিকে সুকান্ত মজুমদার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন কথাবার্তা বলে এরাই মানুষকে প্ররোচনা দেয়। এখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তোলে। অথচ দু’বছর ধরে যখন মণিপুর জ্বলল, তখন এদের এসব জ্ঞান কোথায় থাকে? প্রধানমন্ত্রী তো সেখানে একবার যাওয়ার প্রয়োজনও মনে করেন না। কয়েকটি জায়গায় এরা প্ররোচনা দিচ্ছে। খোদ ওয়াকফ আইনই একটা প্ররোচনা। মানুষের একাংশের আবেগে আঘাত। তারপরেও এলাকার ভিত্তিতে এই প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। গন্ডগোল তৈরি করে বিজেপি সেটাকেই আবার ইস্যু করতে চাইছে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার আছে। বিজেপির ওয়াকফ সংশোধনী বিল এখানে প্রযোজ্য হবে না। এনিয়ে ১৬ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছেন। সেদিন গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
এরপর শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়ে কুণাল বলেন, ‘আমরা মানুষকে বারবার বলছি, পুলিশ-প্রশাসন তাদের কাজ করছে। যাঁরা ওয়াকফ বিল নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের বারবার বলছি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। বিজেপি আপনাদের আবেগে আঘাত করছে, যাতে আপনারা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। সেই গন্ডগোলের সুযোগে তাদের অভ্যন্তরীণ এজেন্সিগুলো কাজ করে যাচ্ছে।’