Land Sale Tax Exemption Rule। এই ধরনের জমি বিক্রিতে পাওয়া যায় কর ছাড়! তবে রয়েছে কিছু ‘শর্ত’

Spread the love

অনেকেই কৃষিকাজের ওপর আয়কর ছাড় নিয়ে কথা বলে থাকেন। তবে এরই সঙ্গে করছাড় পাওয়া যায় কৃষি জমি বিক্রিতেও। উল্লেখ্য, গ্রামীণ কৃষি জমি বিক্রির ক্ষেত্রে কর ছাড় পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও কৃষি জমি ১০ হাজার জনসংখ্যার পুরসভা এলাকা বা ক্যানটনমেন্ট বোর্ডের বাইরে থাকে তাহলে সেটি কর ছাড়ের জন্যে যোগ্য হয়ে থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু ক্ষেত্রে কৃষি জমির ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে। এই সব নিয়মের অধীনে পড়লে কৃষি জমিকে ক্যাপিটাল অ্যাসেট হিসেবে গণ্য করা হয় না।

এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও কৃষি জমিকে ক্যাপিটাল অ্যাসেটের আওতার বাইরে থাকতে হয়, তাহলে সেটিকে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ জনসংখ্যার পুরসভা এলাকা বা ক্যানটনমেন্ট বোর্ডের থেকে অন্তত ২ কিলোমিটার দূরে থাকতে হবে। এদিকে যদি কোনও পুরসভা বা ক্যানটনমেন্ট বোর্ডের জনসংখ্যা ১ লাখ থেকে ১০ লাখ হয়ে থাকে, তাহলে কর ছাড় পেতে হলে সেই কৃষি জমিকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাকতে হবে। এদিকে ১০ লাখের ওপরের জনসংখ্যার কোনও শহরের থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে হলে কৃষি জমি কর ছাড়ের আওতায় পড়বে।

এদিকে এই সব ক্ষেত্রে কৃষি জমি থেকে শহরের দূরত্ব মাপা হল সরলরেখায়। সড়কের দূরত্ব এই ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী কৃষি জমি যদি কোনও অ-কৃষককে বিক্রি করা হয়, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আইন মেনে। এদিকে কোনও এনআরআই যদি ভারতে কৃষি জমি কিমতে চান, তাহলে তাঁকে আরবিআই-এর অনুমতি নিতে হয়। অবশ্য বংশানুক্রমে কোনও অনাবাসী ভারতীয় কৃষি জমি পেতে পারেন।

এদিকে শহুরে কৃষি জমির ক্ষেত্রে মূলধনী আয়করের কী নিয়ম? যদি সেটি কেনার ২ বছরের মধ্যেই বিক্রি করা হয়, তাহলে স্বল্পমেয়াদী মূলধনী লাভ হিসেবে আয়কর স্ল্যাবের হারে কর নেওয়া হবে মালিকের থেকে। এদিকে যদি শহুরে কৃষি জমি কেনার ২ বছরের পরে বিক্রি করা হয়, তাহলে লাভের ওপর ইন্ডেক্সেশন বাদে ১২.৫ শতাংশ হারে কর বসবে। এদিকে ২০২৪ সালের ২৩ জুলাইয়ের আগে কেনা জমির ওপরে ২০ শতাংশ হারে দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী কর প্রযোজ্য হবে ইন্ডেক্সেশন সমেত। এদিকে ব্রোকারেজ এবং আইনি ফি করযোগ্য লভ্যাংশের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *