Last Picture Of Ratan Tata। রতন টাটার শেষ ফটো প্রকাশ্যে!

Spread the love

প্রয়াণের আগে গোয়া গিয়েছিলেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এমিরেটাস। সেখানে তাঁর একটি ছবি তোলেন উপস্থিত ব্যক্তিদের একজন। এবার রতন টাটার সেই ছবিটি প্রকাশ্যে এল। এটিই সম্ভবত তাঁর শেষ ফটো। ৪ অক্টোবর কাজের সূত্রে গোয়া গিয়েছিলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। সেখানে মোপা এয়ারপোর্টে তাঁর বিমান অবতরণ করে। এরপর তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। তাঁর হাতে একটি ফুলের তোড়া তুলে দেওয়া হয়। সেই ফুলের তোড়া হাতে থাকাকালীন আধিকারিকদের পক্ষ থেকে একজন তাঁর ছবি তোলেন। সম্প্রতি সেই ছবিই প্রকাশ্যে এসেছে। 

শেষ ফটো বলে মনে করার একটি যুক্তিসংগত কারণও দেখানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোয়াতে কাজ সেরে রবিবার দুপুরে ফেরত আসেন রতন টাটা। তার পর থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। এই অবস্থায় তাঁকে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাতে সেখানে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। এর পর তাঁর অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি পরীক্ষা করা হয়েছিল সোমবার। দেখা যায়, তাঁর হৃৎপিণ্ডে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে হার্ট বিট। এই পরীক্ষার কিছু পরেই তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। কিন্তু ততক্ষণে কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে। পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে যায়। চিকিৎসকরা পুরোদমে চেষ্টা করেন রতন টাটাকে সুস্থ করে তোলার। কিন্তু সব চেষ্টা বিফল করে দিয়ে বুধবার প্রয়াত হন তিনি (Ratan Tata death)। 

প্রসঙ্গত, রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তির পর একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল সেই খবর। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু সেই দাবি অস্বীকার করা হয়েছিল টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে। একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল কিছু রুটিন পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। কোনওরকম গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতেও অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। বুধবার রাতে প্রয়াত হন টাটা গ্রুপের এমিরেটাস চেয়ারম্য়ান রতন টাটা। তাঁর প্রয়াণের খবর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকৃত্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *