Madhyamgram। ‘সোনার আংটিটা একটু খুঁজে দেবেন’ 

Spread the love

মহিলাকে খুন করে ট্রলিতে ভরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল দুই মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মা আরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনি ঘোষ। দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পিসিশাশুড়িকে খুন করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। আর ট্রলিতে যখন দেহ ঢুকছিল না তখন একটি বঁটি দিয়ে মহিলার পায়ের কিছুটা অংশ কেটে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বঁটি। সেই বঁটি আবার ফেলা হয়েছিল মধ্য়মগ্রামের বীরেশপল্লির একটি পুকুরে। মঙ্গলবার পুলিশের ডুবুরি নামানো হয় ওই পুকুরে।

এদিকে ডুবুরি নেমেছে পুকুরে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার লোকজন চারদিক থেকে জড়ো হয়ে যায়। এমন সময় এক মহিলা এসে হাজির। এই সময় অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এদিন মিনিট ১৫র মধ্য়েই সেই বঁটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।

সেই সময় পুলিশের নামানো ডুবুরির কাছে এক মহিলা এসে অনুরোধ করেন, আমার সোনা ও রুপোর আংটি হারিয়ে গিয়েছিল। একটু খুঁজে দেবেন প্লিজ।

কিন্তু পুকুরে কীভাবে সোনা ও রূপোর আংটি গেল?

সেকথাও জানিয়েছিলেন স্থানীয় ওই মহিলা। আসলে কালীপুজোয় তিনি পুরোহিতকে ওই আংটি দিয়েছিলেন। পুরোহিত আবার ভুল করে সেই আংটি ভুল করে পুজোয় ব্যবহৃত ঘটে রেখে দেন। এরপর পুজো শেষ করে সেই ঘট বিসর্জন দেওয়া হয় পুকুরে। সেই সময় সেই আংটি চলে যায় পুকুরে। পরে সেই আংটির খোঁজ চলে। কিন্তু বহু খোঁজাখুঁজির পরেও সেই আংটির খোঁজ মেলেনি।

এদিকে পুকুরে ডুবুরি নামানো হচ্ছে একথা জানতে পেরেই সেখানে চলে যান তিনি। আশায় আশায় ছিলেন এবার হয়তো পুকুর থেকে উদ্ধার হবে তাঁর সাধের গয়না। কিন্তু সেটা আর হল না। খুনে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আংটি উদ্ধার করেননি ডুবুরি। কার্যত কিছুটা আশাহত হয়েই ফিরে যান ওই মহিলা।

প্রসঙ্গত মধ্য়মগ্রামের বাড়িতে পিসি শাশুড়িকে খুন করে সেই দেহ ট্রলিতে ভরে কুমোরটুলি পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলেন মা ও মেয়ে। তবে ঘাটের কাছেই ধরা পড়ে যান দুজনে। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের। এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে গয়না, টাকাপয়সার লোভেই এই খুনের ছক কষা হয়ে থাকতে পারে। তবে পুলিশ সবটাই তদন্ত করে দেখছে।

এদিকে ইতিমধ্য়েই ওই মা মেয়ের একাধিক কীর্তির কথা সামনে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্য়েই ধৃত ফাল্গুনি ঘোষকে নিয়ে মধ্য়মগ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *