Madhyamgram Murder case।  নীল ট্রলিতে পিসিশাশুড়ির দেহ.. লাল ট্রলিতে কী?

Spread the love

মধ্যমগ্রামে সুমিতা ঘোষ হত্যাকাণ্ডে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এই হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে একটি ট্রলির কথা শোনা গেলেও, জানা যাচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুটি ট্রলির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, তদন্তকারীরা ফুটেজ থেকে দেখতে পান, অভিযুক্তের সঙ্গে নীল ট্রলি ছাড়াও ছিল লাল একটি ট্রলি ব্যাগ। কী ছিল সেই লাল ট্রলি ব্যাগে? সন্দেহ বহু। আপাতত তদন্তকারীরা উত্তর খুঁজছেন অভিযুক্ত মা ও মেয়েকে জেরা করে।

সুমিতা ঘোষের দেহ টুকরো করে তা নীল ট্রলিব্যাগে রাখা ছিল। তাহলে সেদিন, অভিযুক্ত বৌমা ফাল্গুনী ও তাঁর মা আরতি ঘোষের সঙ্গে থাকা লাল ট্রলি ব্যাগে কী ছিল? তদন্তকারীদের অনুমান, ওই লাল ট্রলিব্যাগে ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষের দেহেরই কিছু অংশ থাকতে পারে। এছাড়াও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও থাকতে পারে। তবে আসল উত্তর জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষকে হত্যার অভিযোগে বৌমা ফাল্গুনী ও তাঁর মা আরতিকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত। আপাতত লাল ট্রলির রহস্য জানতে আরও জেরা করা হবে ধৃত মা ও মেয়েকে। 

গত মঙ্গলবার কলকাতার এক গঙ্গারঘাটের কাছ থেকে সন্দেহজনক ট্রলিব্যাগ ঘিরে ফাল্গুনী ও তাঁর মা আরতিকে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। আসে পুলিশ। ট্রলিব্যাগ খুলতেই দেখা যায় এক মহিলার খণ্ড খণ্ড দেহ। এরপরই জেরায় জানা যায়, ওই দেহ ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি সিমিতা ঘোষের। সেদিন নীল রঙের ওই ট্রলিব্যাগ গঙ্গায় ভাসিয়ে জিতে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত ফাল্গুনী ও তাঁর মা। অভিযোগ ওঠে, তাঁরা সুমিতা ঘোষকে হত্যা করে তাঁর টুকরো দেহ ট্রলিব্যাগ বন্দি করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন।

এদিকে, ঘটনার তদন্তে নেমে, খুনের রাত থেকে পরের দিন দুপুর পর্যব্ত পর পর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে থাকেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। তখনই ওই নীল ট্রলি ছাড়াও আরও এক লাল ট্রলির হদিশ পান তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্র উল্লেখ করে, এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের দোলতলা যাওয়ার জন্য নীল রঙের ট্রলি নিয়ে বার হওয়ার ৪২ মিনিট ১৮ সেকেন্ড আগে মেয়ে ফাল্গুনী। অন্যদিকে মা আরতি একটি লাল রঙের ছোট ট্রলি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। এরপর তাঁদের সফরের ৩ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ফুটেজ মিলেছে। বাকি ফুটেজ মেলেনি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। নীল বাদে ও লাল ট্রলিতে রক্তমাখা অস্ত্র বা দেহের বাকি অংশ থাকতে পারে। তবে সেই লাল ট্রলি গেল কোথায়? সেই তথ্য়ই জেরায় জানতে চাইবে পুলিশ, বলে খবর। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *