ব্যারাকপুর বা খড়দায় বাড়ি। অথচ ইকো পার্ক(Eco Park) যেতে মন চাইলে উজিয়ে যেতে হয় অনেকটা পথ। ফেরাও কম ঝক্কির নয়। তবে এই সমস্যা আর পরের বছর থেকে থাকবে না। কারণ আগামী বছর থেকে মধ্যমগ্রামেই পেয়ে যাবেন নিউটাউনের ইকো পার্কের আদলে আরেকটা নতুন ইকো পার্ক।
মধ্যমগ্রামে হঠাৎ কেন ইকো পার্ক?
মধ্যমগ্রামে হঠাৎ ইকো পার্ক গড়ে তোলার নেপথ্যে কী কারণ? পুরপ্রধানের কথায়, পরিবেশ সচেতনতা একটা বড় কারণ। এছাড়াও নিউটাউনের ইকো পার্কে বেশ কয়েক বছর ধরেই উপচে পরা ভিড় হয়। সেই ভিড়ও কিছুটা সামাল দেওয়ার চিন্তা থেকে এই ইকো পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বর্তমানে খাদ্য সরবরাহ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী রথীন ঘোষই। তিনি পুরপ্রধান থাকাকালীন কলকাতা পৌরসভার তত্ত্বাবধানে এই কাজ শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানিহারা এলাকায় ১০ একর জমির ইকো পার্কের জন্য বরাদ্দ হয়। কিন্তু মাঝখানে বেশকিছু দিন কাজ স্থগিত ছিল ফান্ডের অভাবে। বর্তমানে সেই সমস্যা মেটায় পুরোদমে শুরু হয়েছে কাজ।
কী কী সুবিধা মধ্যমগ্রামের ইকো পার্কে?
পার্কের ভিতরে একটি বড় জলাশয় থাকছে। বোটিং করার সুযোগ থাকবে সেখানে। এছাড়াও জলাশয়ের উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য তৈরি হচ্ছে একটি ব্রিজ থাকবে। নিউটাউনের ইকো পার্কের মতো যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থাও থাকছে মধ্যমগ্রামের ইকো পার্ক জুড়ে। । বাচ্চাদের খেলার জন্য তৈরি হচ্ছে মাঠ। প্রবীণদের সময় কাটানো ও আড্ডা মারার জন্য থাকছে বসার ব্যবস্থা। এছাড়াও, খিদে পেলে মুশকিল আসানের জন্য থাকছে ফুড কোর্টের ব্যবস্থা। নিমাই ঘোষ জানান,‘পার্কের ভিতরে ফল ও ফুলের প্রচুর গাছ লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে। পার্কিং জোনের ব্যবস্থাও করা হবে।’
উত্তর শহরতলির জন্য মস্ত সুবিধা
পুরপ্রধানের কথায়, নতুন ইকো পার্ক মধ্যমগ্রামে হওয়ায় এদিকে যেমন বারাসতের মানুষজনের কাছাকাছি হচ্ছে, তেমনই খড়দা, ব্যারাকপুর ও জেলার মানুষদের সুবিধা হতে চলেছে। অন্যদিকে নিউটাউনের ভিড়ও কিছুটা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।
আগামী বছর থেকেই চালু?
আগামী বছর থেকেই চালু হবে বলে আশাবাদী মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পুরপ্রধান। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে রথীন ঘোষ চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। কেএমডিএ-র তরফে অনুমতি এলেও ফান্ডে কিছু জটিলতার কারণে কাজ আটকে ছিল এতদিন। অবশেষে সেই জটিলতা মিটেছে। ৩০ কোটি বরাদ্দ হয়েছে পার্ক তৈরির জন্য। বর্তমান পুরপ্রধান নিমাই ঘোষের কথায়, ‘ফান্ড যেমন যেমন আসছে, কাজ তেমন তেমনভাবে এগোচ্ছে। কেএমডিএ-র আর্থিক সহায়তায় এই পার্ক পরিচালনা করবে মধ্যমগ্রাম পৌরসভা। আগামি বছর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা রাখছি।’