মহাকুম্ভের ট্রেনে উঠতে না পেরে সংরক্ষিত এসি কামরার কাচ ভেঙে ফেললেন বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মধুবনী স্টেশনে। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনযায়ী, মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেসে ওঠার চেষ্টা করছিলেন শ’য়ে শ’য়ে যাত্রী। তবে ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে উঠতে না পেরে যাত্রীরা এসি কামরার কাচের জানলায় আঘাত করতে শুরু করে। স্টেশনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেসের এসি কামরাগুলি ভক্তে ভরা থাকায় দরজা খুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। এরই মধ্যে স্টেশনে বিপুল জনতা জড়ো হয়ে ট্রেনে উঠতে না পেরে আক্রমণ শুরু করে ট্রেনের ওপরে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পাথর ছোড়ার ফলে ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং সেটি ট্রেনের ভেতরে থাকা যাত্রীদের ওপর পড়ে। এতে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী ও দলের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, বিহারের মধুবনী স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটি এগিয়ে গেলেও বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটেনি। মধুবনী ও দ্বারভাঙ্গার মাঝামাঝি ট্রেনটিকে নিশানা করা হয়। এই আবহে ১২৫৬১ নম্বর ট্রেনের এম১ থেকে বি৫ এবং এ১ পর্যন্ত কামরায় জানালা ভাঙচুর করা হয়। সমস্তিপুর স্টেশনে এই ভাঙা জানলা দিয়ে প্রচুর ভিড় এসি কামরায় উঠতে দেখা যায়।
মহাকুম্ভে আসা ভক্তদের হতাশায় ট্রেনে হামলা চালানোর ঘটনা এই প্রথম নয়। মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে প্রয়াগরাজগামী একটি বিশেষ ট্রেন হরপালপুর স্টেশনে পাথর ছোড়া হয়। উল্লেখ্য, মাঘী পূর্ণিমাতে পূণ্যস্নান করতে কোটি কোটি পূণ্যার্থী, সাধু, সন্ন্যাসী প্রয়াগরাজের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। এর জেরে প্রয়াগারাজে যাওয়ার রাস্তায় লক্ষ লক্ষ গাড়ির লম্বা লাইন পড়েছে। মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত এই যানজট দেখা গিয়েছে। এরফলে রবিবার বিভিন্ন জেলায় যান চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়। জানা গিয়েছে, যানজট এড়াতে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রয়াগরাজ অভিমুখে যাওয়া শত শত যানবাহন থামানো হয়। দীর্ঘ যানজটের কারণে মধ্যপ্রদেশের কাটনি জেলায় সোমবার পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। কাটনি থেকে মধ্যপ্রদেশ-উত্তর প্রদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেওয়ার চকঘাটে ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে বিশাল যানজট ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, যে যানবাহনগুলি ৪৮ ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে ছিল। একজন ব্যক্তি দাবি করেছেন, যে ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগছে।