মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এখন উত্তপ্ত বিটকয়েন কেলেঙ্কারি নিয়ে। এই আবহে নাম জড়িয়েছে সুপ্রিয়া সুলের। ভাইরাল হয়েছে একটি অডিয়ো। যা নিয়ে বিজেপি দাবি করছে, বিটকয়েন কাণ্ডে যে সুপ্রিয়া যুক্ত, সেই অডিয়োই তার প্রমাণ। যদিও সুপ্রিয়া নিজে দাবি করেছেন, সেই কণ্ঠস্বর তাঁর নয়। এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন বিপক্ষ শিবিরে থাকা অজিত পাওয়ার। এই নিয়ে অজিত বলেন, ‘আমি বহু বঠর পাটোলের সঙ্গে কাজ করেছি। এই ভাইরাল অডিয়োর কণ্ঠস্বর তাঁর এবং সুপ্রিয়ার। তদন্ত হলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
উল্লেখ্য, বিটকয়েন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের বিরুদ্ধেও এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবীন্দ্রনাথ পাটিল নামক একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অভিযোগ করেন, সুপ্রিয়া সুলে ও নানা পাটোলে বিটকয়েন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুপ্রিয়া সুলে।
অভিযোগকারী রবীন্দ্রনাথের দাবি, ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত এই দুর্নীতি ২০১৮ সালে হয়েছিল। এদিকে লেনদেনে হেরফেরের জেরে সেই অফিসার নিজেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপরই তিনি সুপ্রিয়া সুলে ও নানা পাটোলের নাম সামনে আনেন। নির্বাচনী প্রচারে সেই বিটকয়েন দুর্নীতির টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল। এদিকে এই অভিযোগ সামনে আসতে বিজেপিও ‘প্রমাণ’ স্বরূপ একটি অডিয়ো ক্লিপ সামনে আনে। এই নিয়ে সরব হয়ে জবাবদিহি চান বিজেপি মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী।
এই নিয়ে সুপ্রিয়া বলেন, ‘আমি যে কোনও পাবলিক ফোরামে বসতে রাজি। জায়গা এবং সময় ও নির্ধারণ করুক। আমি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছি। বিটকয়েন লেনদেনে আমার কোনও যোগ নেই। রবীন্দ্রনাথ পাটিল নিজেই দুই বছরের জন্য জেল খাটছেন। আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ করেছি। পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমারকে আমি ফোন করেছি এবং এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেছি। তিনি ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমাকে। ভুয়ো খবর বেরিয়ে আসার পর আজ সকালে আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে আমরা ফৌজদারি মানহানির নোটিশও দিয়েছি।’