আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশাসনিক বৈঠক। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক। সেখানে সরকারি আধিকারিকদের নানা পরামর্শ দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী(Mamata Banerjee)। মালদাতেও তিনি সরকারি আধিকারিকদের প্রায় একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কার্যত আরও মাটির কাছাকাছি যাতে আসতে পারেন সরকারি আধিকারিকরা তারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্য়মন্ত্রী সরকারি আধিকারিকদের পরামর্শ দিয়েছেন, অন্য দিকে মন না দিয়ে, কাজে মন দিতে হবে। কাজের জন্য একটা ভালো অফিসারকে মানুষ মনে রাখে। খারাপ কাজ করলে মানুষ ঘৃণা করে।সবাইকে বলব ফিল্ড ভিজিট করতে। মুখ্য়সচিব জেলা সফরে এসে যদি ফিল্ড ভিজিট করতে পারেন তাহলে মাঠে যাওয়া, চা বাগানে যাওয়া বিডিও, এসডিও, ডিএমদের করা উচিত। আগের মতো ফিল্ড ভিজিট করছেন না। আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি। আবার সেই কাজ শুরু করুন।
এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আরও বলেন, ভোটের জন্য ৬ মাস নষ্ট হয়েছে। কাজ থেমে থাকলে হবে না। বন দফতর গাছের প্ল্যানিং করুন। টাইমলাইন মেনেই কাজ শেষ করতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ করা উচিত। সব কাজে আমরা নজরদারি করব। ভাববেন না এই জায়গা থেকে কলকাতার অনেক দূরত্ব। এখন এক সেকেন্ডে যোগাযোগ করা যায়। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সেই সঙ্গেই মমতার প্রশ্ন, ১৩৮ প্রকল্প রূপায়ণে এই জেলায় দেরি হয়েছে। কেন দেরি হয়েছে? দফতরগুলোকে শেষ করতে হবে। পানীয় জলের প্রকল্পে দেরি হয়েছে। কার্যত সতর্ক করে দেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্পে টাকা লাগবে না। টাকা নেওয়া অভিযোগ আসলেই অ্যাকশন। সে যেই নিক না কেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্য়েই কাজ শেষ করতে হবে। কিছু কাজ দায়দারা ভাবে শেষ করা হচ্ছে। সব জেলাকে এই বিষয়ে সতর্ক করছি। যে পয়সা চাইবেন তার বিরুদ্ধেই এফআইআর আর অ্যাকশন নেওয়া হবে। জানিয়েছেন মমতা।
তিনি বলেন, আমি মিটিং না করলে কাজ হবে না? জেলাশাসককে তো উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্পের জন্য এমন জায়গা দেখুন যেখানে অ্যাপ্রোচ রোড রয়েছে। না হলে হবে না। এখন থেকে কাজ এমন ভাবে করতে হবে যেখানে জনসংযোগ ও যোগাযোগ আছে।
কার্যত প্রকল্পের কাজে যাতে কোথাও গড়িমসি না হয়, কোথাও যাতে টাকা পয়সা না নেওয়া হয় সেব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী।