Mamata Shankar’s Husband। মিঠুনের সঙ্গে ভাঙে বিয়ের পাকা কথা! মমতা শঙ্করের স্বামীকে চেনেন?

Spread the love

মৃগয়া ছবিতে নজর কেড়েছিল মিঠুন-মমতা জুটি। উদয় শঙ্করের কন্যার সঙ্গে সেই ছবির সেটেই মন দেওয়া-নেওয়া সেরেছিলেন মিঠুন। যদিও তার আগেও ‘বাপিদা’র সঙ্গে প্রেম ছিল মমতার। মিঠুনের সঙ্গে বিয়েতে সায় ছিল পরিবারে। দুজনের বিয়ের তারিখও ছিল পাকা। ২৩শে জানুয়ারি অর্থাৎ আজকের দিন। কিন্তু শেষমেশ সেই বিয়ে ভেস্তে যায়। বলিউডে কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মিঠুন। ওদিকে মমতার জীবনে ফিরে আসে পুরোনো ভালোবাসা।

১৯৮০ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি বাপিদা-কে বিয়ে করেন মমতা শঙ্কর। বিয়ের আগে সেই খবর জানিয়েছিলেন মিঠুনকে। একই বছর মিঠুনও বিয়ে করেন হেলেনাকে। যদিও সেই বিয়ে টেকেনি।মমতার স্বামীর নাম চন্দ্রদয় ঘোষ। মিঠুনের সঙ্গে আলাপের আগেই চন্দ্রদয় ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা চলছিল। নায়কের এন্ট্রিতে বদলে যায় সবটা। তবে মিঠুন বিয়ে থেকে বেঁকে বসলে পুরোনো ভালোবাসাই আগলেছিল মমতাকে। দুই ছেলে, বউমা, নাতি নিয়ে ভরা সংসার মমতার। আগামী মাসেই বিয়ের ৪৫ বছর পূর্ণ করবেন তাঁরা। সুজয় প্রসাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর তাঁর দাম্পত্য টিকে থাকার কারণ ব্যাখা করেছিলেন। মমতা অকপটে বলেন, ‘আমি যদি আবার জন্ম নিই, আবার ওকেই বিয়ে করতে চাই। আমাদের অনেক দ্বিমত আছে, অনেক কিছু মেলে না। আবার কোথাউ এমন বন্ডিং আছে…. প্রথমত আমি এমন একটা শ্বশুরবাড়ি পেয়েছি। আমি খুব ঘরকুণো, বাপিদা (স্বামী) পুরো উলটো’।

উদয় শঙ্কর-অমলা শঙ্করের মেয়েকে গৃহবধূ করে বাড়িতে বসিয়ে রাখার ভাগীদার হতে চাননি মমতার স্বামী। তাই স্ত্রীকে বাইরে বেরিয়ে কাজ করার উৎসাহ জুগিয়েছেন চিরকাল। মমতার কথায়, ‘প্রথম বিয়ের জন্য প্রোপোজ যখন করে তিনটে প্রমিজ করিয়েছিল। এক, তুমি কোনওদিন নাচ ছাড়তে পারবে না। তখনও আমি সিনেমায় নামিনি। দুই, তুমি কখনও গান ছাড়তে পারবে না। তিন, তুমি কখনও আমাকে ভুল বুঝবে না’। ‘মম’ মম! চিরকুটে এই লেখা লিখেই মমতা শঙ্করের মন জয় করেছিলেন চন্দ্রদয় ঘোষ। শ্বশুরবাড়ি, বাপের বাড়ি, ছেলে-বউমা-নাতি সকলে এতটাই ভালো যে জীবনে কিছু বদল চান না মমতা শঙ্কর। কেন মিঠুনের সঙ্গে বিয়েটা হয়নি? নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা বলেছিলেন, ‘তখন সবে ও কেরিয়ার শুরু করেছে, স্ট্রাগেল পেড়িয়ে ও তখন সবে ছবি পেতে শুরু করেছে। তখনই ও বিয়ে করতে রাজি ছিল না। বলেছিল ২ বছর সময় লাগবে। বিয়ের তারিখটা পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। আমার তখন ঠিক আত্মসম্মানে লাগেনি, তবে দুই বাড়ি থেকেই বিয়েটা হয়ে যাক। যখন বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল ওর আর আমার, তখন ও সেভাবে ছহি পাচ্ছিল না। তবে বিয়ের তারিখ যখন এগিয়ে আসে, সেই সময় ওর কেরিয়ার দাঁড়াতে শুরু করে। তাই ও কিছুটা সময় নিতে চেয়েছিল।’

যদিও শুধু বিয়েতে অনীহাই নয়, একাধিক বলিউড নায়িকার সঙ্গে মিঠুনের ঘনিষ্ঠতার চর্চাও ছিল সেই বিয়ে ভাঙার অন্যতম কারণ। চন্দ্রদয়ের সঙ্গেই সুখের দাম্পত্যে মমতার। তবে মিঠুনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *