ঘটনা উলুবেড়িয়ার। সেখানে চিকনবাড় গ্রামে বাড়ি পেশায় গেঞ্জি ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন বছর ২৫র তন্ময় দাস। প্রায় ৫ বছর আগে, তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় এলাকারই এক তরুণীর। জাঁকজমক সহকারে হয়েছিল বিয়ে। তবে সেই দাম্পত্যের মাঝে আশান্তি শুরু হয় তরুণীর বোনের সঙ্গে তন্ময়ের সম্পর্ক নিয়ে। শ্যালিকার সঙ্গে তন্ময়ের সম্পর্কের কথা পরিবারে জানাজানি হতেই আশঙ্কা চরমে ওঠে। সদ্য এক হাড়হিম করা ঘটনার পর মৃত্যু হয় তন্ময়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁর শ্যালিকা। ঠিক কী ঘটেছিল তাঁদের পরিবারে?
বিয়ের বহু দিন কেটে গেলেও, স্ত্রীর চেয়ে তাঁর বোনের প্রতি তন্ময়ের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগ, শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তন্ময়। সদ্য তিনি কারখানায় কাজে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। হঠাৎই তিনি সঙ্গে শ্যালিকাকে নিয়ে বাড়ি ঢোকেন বলে জানা যায়। সেদিন তন্ময়ের সঙ্গে ছিল তাঁর বাইক। এদিকে, শ্যালিকাকে নিয়ে বাড়িতে এসেই তন্ময় জানান, তাঁরা একসঙ্গে বিষ খেয়েছেন। ততক্ষণে সেকথা কেউ বিশ্বাস করতে চাননি। তবে সময় কিছুটা এগিয়ে যেতে শুরু করলে, দেখা যায় বমি করতে শুরু করেছেন তন্ময়। মুহূর্তে তোলপাড় শুরু হয়। তন্ময় জানান, তিনি একা নন, বিষ খেয়েছেন তাঁর শ্যালিকাও। এরপরই উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনকে ভর্তি করেন পরিবারের সকলে। সেখানে নিয়ে গেলে তন্ময়কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাঁর শ্যালিকা। গোটা ঘটনা নিয়ে তোলপাড় এলাকা।
বছর পাঁচেক আগে, কুলগাছিয়া মাধবপুর এলাকার এক বাসিন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় তন্ময়ের। স্থানীয় লোকজন বলছেন, বিয়ের কিছু বছরের মধ্যেই শ্যালিকার সঙ্গে তন্ময়ের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। পরিবারে এই নিয়ে তুমুল অশান্তি হয়। তারপরও দুজনের মধ্যে সম্পর্ক থেকে যায়। যার শেষে এই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে।