মঙ্গলবার রাত থেকে তপ্ত মণিপুরের(Manipur) চুরাচাঁদপুর এলাকা। সেখানে নতুন করে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। তারপর থেকেই এলাকায় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মণিপুরের কুকি-জো অধ্যুষিত এলাকা চুরাচাঁদপুরে জোমি ও মার জনজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের জেরে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এলাকায় জোমি গোষ্ঠী তাদের পতাকা উত্তোলন করতে গেলে তার বিরোধিতা করে মার জনজাতি। সেই ঘটনা নিয়ে নতুন করে জাতিদাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয় মণিপুরের চুরাচাঁদপুরে। এই ঘটনার আগে অভিযোগ রয়েছে, জোমি গোষ্ঠীর তরফে মার গোষ্ঠীর এক নেতাকে মারধর করা হয়। তখন থেকেই তপ্ত পরিস্থিতি রয়েছে মণিপুরে। এরপর পতাকা উত্তোলন ঘিরে নতুন করে সংঘর্ষের জেরে ৫৩ বছর বয়সী লালরোপুই পাখুমাতে নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই নতুন করে তপ্ত মণিপুরের চুরাচাঁদপুর। এদিকে, ‘জোমি স্টুডেন্টস ফেডারেশন’র তরফে বুধবার এলাকায় বনধের ডাক দেওয়া হয়। চুরাচাঁদপুরে সমস্ত স্কুল, কলেজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বনধের ডাক দেওয়া হয়। জানানো হয়, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ এই বনধ চলবে। প্রসঙ্গত, সদ্য চলতি বছরে রাষ্ট্রপতি শাসনের আওতায় রয়েছে মণিপুর। এর আগেত জাতি দাঙ্গা ঘিরে মণিপুর শতাধিক মৃত্যু দেখেছে। গত ২০২৩ সালে জাতিদাঙ্গায় লিপ্ত হয় মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠী। মণিপুরের নানান জায়গায় আগুন জ্বলে। অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু সেখানে হয় শুধু এই দাঙ্গার জেরে। মণিপুরে ঘর ছাড়া হন ৬০ হাজার মানুষ। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। সদ্য সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন এন বীরেন সিং। তারপরই মণিপুরে লাগু হয় রাষ্ট্রপতি শাসন।
এদিকে, সদ্য গত কয়েকদিন ধরে মণিপুরের চুরাচাঁদপুর ছিল খবরের শিরোনামে। সেখানে সংঘর্ষ ঘিরে পরিস্থিতি তপ্ত হতেই সোমবার দুইপক্ষকে মুখোমুখি বসায় প্রশাসন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকেই পরিস্থিতি তপ্ত হয় নতুন করে সংঘর্ষের জেরে। লালরোপুই পাখুমাতের মৃত্যুর পরই এই সংঘর্ষ ছড়ায়। জানা গিয়েছে, আহত লালরোপুই পাখুমাতেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, এরপর ক্ষিপ্ত এক পক্ষ পাথর ছোড়ে। পাল্টা টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী।