Mayor Firhad Hakim। ‘সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়, কলকাতায় এরকম বহু বিল্ডিং রয়েছে’

Spread the love

সম্প্রতি কলকাতায় একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এর জন্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বামেদের দিকে আঙুল তুললেও পালটা বিরোধীরা এর জন্য শাসকদলকেই দায়ী করছেন। বাঘা যতীনের পর ট্যাংরায় বাড়ি হেলে ঘটনা যেমন সামনে এসেছে তেমনি বৃহস্পতিবার বেলেঘাটা মেইন রোডে আরও একটি বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা নজরে এসেছে। শুধু তাই নয়, কলকাতার বিভিন্ন অংশে এরকম বহু বাড়ি রয়েছে যেগুলি হেলে পড়েছে। এই অবস্থায় বড় দাবি করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি দাবি করেছেন, হেলে পড়া বাড়ি মানেই বিপজ্জনক নয়।

বৃহস্পতিবার মেয়র জানিয়েছেন, বাড়ি হেলে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে বাড়ি হেলে পড়া মানেই যে বিপজ্জনক এমনটা ঠিক নয়। কী কারণে কলকাতায় এতগুলি বাড়ি হেলে পড়ল তা অনুসন্ধান করা হবে বলে মেয়র জানান। জানা গিয়েছে, ট্যাংরায় হেলে পড়া বাড়ির মধ্যে একটিকে পুরসভার তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিপজ্জনক বাড়িতে যেসব আবাসিকরা থাকছেন তাদের তিন দিনের মধ্যে বাড়ি ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা।

ইতিমধ্যেই বাড়িটির স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। তারা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর পুরসভাকে রিপোর্ট দেবেন। তারপরে ওই বাড়ির কতটা অংশ ভাঙা হবে তা ঠিক করা হবে। যদিও মেয়র দাবি করেন, ট্যাংরায় দুটি বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরসভার কোনও নিয়মই মানা হয়নি। মালিকরা এখনও পর্যন্ত কোনও প্ল্যান দেখাতে পারেননি। এর পাশাপাশি পুরসভার তরফে কলকাতা বিভিন্ন বহুতলের স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি কতটা সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। যদিও মেয়র জানিয়েছেন, এটা কোনও নিয়ম নয়। পুরসভার তরফে শুধুমাত্র অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ফলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছিল কলকাতা পুরসভা থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার। কিন্তু, তারপরেও বেআইনি নির্মাণ গড়ে তোলার ছবিটা বদলায়নি। পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, যে অনেক নির্মাণ রয়েছে যেগুলি ভাঙতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী ইঞ্জিনিয়ারদের মারধর করা হচ্ছে। আবার মেয়র দাবি করেছেন, ৬০ বছরের পুরনো অনেক বিল্ডিং রয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এভাবে খোঁজ করা সম্ভব নয়। বহু বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তার কটাক্ষ উন্নয়ন হেলে পড়েছে। তাই কলকাতায় বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *