পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই। সীমান্তপার সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের ওয়ান্টেড অপরাধীদের সেখানে জামাই আদর দেওয়া হয়। আর সম্প্রতি তো বিতর্কিত ধর্মগুরু জাকির নায়েকের সঙ্গে লাহোরে বৈঠক করেন পাক পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নাওয়াজ এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আর এই আবহে ইসলামাবাদকে কড়া ভাষায় তোপ দাগল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামাবাদকে বারবার কড়া জবাব দিয়েছে দিল্লি। কাশ্মীরে পাকিস্তানি দখলদারি ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের অকর্মণ্যতা নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এদিকে নরেন্দ্র মোদীও সম্প্রতি মার্কিন পডকাস্টারের শো-তে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকে তোপ দেগেছিলেন। এই সব নিয়ে পাকিস্তান আবার পালটা সুর চড়ানোর চেষ্টা করেছিল। এমনকী বালোচিস্তানের পরিস্থিতির জন্যে ভারতকে দায়ী করতে ছাড়েনি পাক সেনা। এই আবহে পাকিস্তানকে আয়নায় মুখ দেখাল ভারত।
২১ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বিশ্ব পরিষ্কারভাবে জানে যে আসল এখানে ইস্যু হল সীমান্ত সন্ত্রাসে পাকিস্তান সক্রিয় ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে। পাকিস্তানের এহেন কর্মকাণ্ডই এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা।’ এদিকে মরিয়ম এবং নওয়াজ শরিফের সঙ্গে জাকির নায়েকের বৈঠক প্রসঙ্গে রণধীর বলেন, ‘পাকিস্তানে জাকির নায়েকের এই প্রথম সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে না। এতে পাকিস্তানের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটে এবং সেটা যে আমাদর জন্যে কী, তাও স্পষ্ট… যে ব্যক্তি ভারতে ওয়ান্টেড, তাকে সেখানে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।’
অর্থ পাচার ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে চরমপন্থায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ভারতে ‘ওয়ান্টেড’ জাকির নায়েক। এহেন জাকির নায়েক পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কোনও সমস্যা ছাড়াই। ২০১৬ সালে তিনি ভারত থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার পর তার ভারতীয় পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছিল। এদিকে জাকির নায়েককে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের অনুরোধ মালয়েশিয়ার কাছে মুলতুবি রয়েছে। এই আবহে তিনি বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোন নথি ব্যবহার করছেন তা পরিষ্কার নয়।
এদিকে পারসিদের নওরোজ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে দিল্লিতে অবস্থিত পাক হাইকমিশনে। সেই অনুষ্ঠানে ভারতীয় পক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আরও ঝাঁঝালো জবাব দেন রণধীর। তিনি বলেন, ‘তারা কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে এই মুহুর্তে আমার কাছে নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই … তবে আমন্ত্রণের বিষয়টি পারস্পরিক সম্পর্কের উপর নির্ভর করে, তাই না? আমন্ত্রণকে সম্মান জানানো হয়… তাদের গ্রহণ করা সম্পর্কের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।’