এনডিএর আওতায় থাকা মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, সুশাসন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার সার্বিক উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সহযোগীরা জাতীয় উন্নতি ও গরিব ও পিছিয়ে পড়াদের উন্নতি করতে একেবারে বদ্ধপরিকর। লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা লোক জন শক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসোয়ান, জনতা দল ইউনাইটেডের রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিং, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কনরাড সাংমা এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল আগেই জানা গিয়েছিল। মোদীর সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর কথাও হয়। আপনা দলের নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেলের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এছাড়া বিজেপির ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৬ জন উপমুখ্যমন্ত্রীর সকলেই উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছিল। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।।
মজার বিষয় হ’ল এনডিএ শরিকরা যখন মহারাষ্ট্রের আসন ভাগাভাগির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত তখনই এই বৈঠকের কথাটি সামনে আসে।
বিজেপির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল আলোচ্যসূচিতে জাতীয় উন্নয়নের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এবং যোগ করা হয়েছে, ‘এটি সংবিধান কা অমৃত মহোৎসব পালন এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টার ৫০ তম বার্ষিকীর মতো বিষয়গুলিও আলোচনা করবে। ২০২৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক জরুরি অবস্থা জারির ৫০ তম বার্ষিকী হবে, যা ১৯৭৫-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।
অপর এক বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন, হরিয়ানায় অপ্রত্যাশিত ভাল নির্বাচনের ফলাফলের পরে এই বৈঠকটি একটি উদযাপনের মুহূর্ত এবং ক্ষমতাসীন সরকারের শক্তি প্রদর্শন হিসাবে দেখা যেতে পারে। ‘২০২৪ সালের ফলাফল আমাদের প্রত্যাশা থেকে পিছিয়ে দিয়েছে এবং তাই মেজাজটি কিছুটা শান্ত হয়েছে। আগামীকালের এই বৈঠক সেই পরিবর্তনের সূচনা করবে। ওই নেতা ব্যাখ্যা করেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি তাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সংসদীয় দলের বৈঠকও বন্ধ করে দিয়েছে, যা সাধারণত অধিবেশন চলাকালীন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। অগস্টে শেষ হওয়া বাদল অধিবেশনে কোনও দলীয় বৈঠক হয়নি।