Menstrual Leave: নীতি নির্ধারণে কেন্দ্র-রাজ্য সরকারগুলিকে ‘সুপ্রিম’ বার্তা

Spread the love

মহিলা কর্মীদের ঋতুচক্রকালীন(Menstrual Leave) ছুটি কি ভারতে এবার সরকারিভাবে লাগু হতে পারে? এই প্রশ্ন বহুদিনের। ঋতুচক্রকালীন ছুটি নিয়ে এক মামলায় বড় বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা এদিন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে মামলা খারিজ করলেও সুপ্রিম কোর্ট(Supreme court) সাফ জানিয়েছে, এই বিষয়ে একটি মডেল নীতি প্রণয়ন করা যায় কিনা তার সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রকে সমস্ত সংশ্লিষ্ট মহল এবং রাজ্য সরকারগুলির সাথে আলোচনা করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট(Supreme court) তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, আমরা মহিলাদের সুরক্ষার জন্য যা করতে চাইছি, তা তাঁদের অসুবিধায় ফেলুক, এমনটা আমরা চাই না। এই বিষয়ে নীতি নির্ধারণে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির অংশীদারির বিষয়ে বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও যে মহিলা এই জনস্বার্থ মামলার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁকে কেন্দ্রের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের কাছেও দ্বারস্থ হওয়ার বার্তা দিয়েছে কোর্ট।

কিছুদিন আগেও, ভারতে ঋতুচক্রকালীন(Menstrual Leave) ছুটি মহিলাদের দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যার জবাবে তৎকালীন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি(Smriti Irani) বলেন, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও বিবেচনা করেনি। ভারতে এই ছুটি সরকারিভাবে কার্যকরী না হলেও, মেনস্টুয়াল লিভ বা ঋতুচক্রকালীন ছুটি, ভারতে কার্যকর না হলেও বিশ্বের বহু দেশে তা কার্যকর হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই ঋতুচক্রকালীন কার্যকর হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া, জাপান, সাউথ কোরিয়া, তাইওয়ানের মতো দেশে এই বিশেষ ধরনের ছুটি কার্যকর করা হয়েছে। আফ্রিকার জাম্বিয়াতেও রয়েছে এই ছুটির সরকারি অনুমোদন।

মহিলাদের ঋতুচক্রকালীন ছুটি দিলে, তাঁদের কর্মশক্তি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে না তো? পাশাপাশি এই ছুটি লাগু হলে আরও মহিলারা কর্মশক্তির অংশ হতে উদ্যোগী হতে পারেন। এমন দুই দিকের সম্ভাবনা সামনে রেখেই সুপ্রিম কোর্ট এই ঋতুকালীন ছুটি নিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করে। এই ছুটি নিয়ে মামলা খারিজ করলেও, সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে নীতি নির্ধারণের দিকটি খোলা রেখেছে। এছাড়াও তা নিয়ে কেন্দ্রকে সংশ্লিষ্ট মহল এবং রাজ্যসরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা করে কোনও নীতি নির্ধারণ করা যায় কি না, তার বিষয়ে বার্তা দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *