MLA Jibankrishna Saha: জেল থেকে সদ্য বেরিয়েছেন! তিলক পরে রথ টানলেন এমএলএ জীবনকৃষ্ণ

Spread the love

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন তিনি। প্রায় ১৩ মাস জেলে কেটেছে তাঁর। তিনি জীবনকৃষ্ণ সাহা। এবার সেই জীবনকৃষ্ণ সাহাই(Jiban Krishna Saha) জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। এবার সেই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দেখা গেল রথের দড়িতে টান দিতে।

বড়ঞাঁ ব্লকের পাচ্ছিপাড়া গ্রামে রথযাত্রার অনুষ্ঠান ছিল তাঁর। আর সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ(Jiban Krishna Saha) । তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীও সেই রথযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন। হলুদ পাঞ্জাবি পরে তিনি রথের অনুষ্ঠানে আসেন। রথের দড়ি ধরে টান দেন তিনি।

এদিকে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি ফোন ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। বহু কষ্টে জল বের করে সেই ফোন খুঁজে পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর গ্রেফতার হন তিনি। তবে বর্তমানে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন জীবনকৃষ্ণ।

এদিকে বিগতদিনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী টিম যখন তদন্তে গিয়েছিলেন তার বাড়িতে, তখন মোবাইল দুটি পাশের এঁদো পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন তিনি। সেই পুকুরে তন্নতন্ন করে খুঁজে মোবাইল উদ্ধার করেছিল তদন্তকারী এজেন্সি।

মোবাইল প্রসঙ্গে পরে প্রশ্ন করা হলে জীবনকৃষ্ণ একেবারে ঘাড় নেড়ে বলেন, না না। এরপরেও প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকেও তিনি বলেন না না… কার্যত তিনি জানিয়ে দেন কিছুই পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, দল অবশ্যই আমার পাশে আছে। আমি যখন কোনও অন্যায় করিনি তখন কেন পাশে থাকবে না। আমি যে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত তা কি প্রমাণিত হয়েছে?

এদিকে জীবনকৃষ্ণের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি ছিল, চোরেরা চোরেদের পাশে থাকবেন এটা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তবে মোবাইলে যদি কিছু নাই থাকে তবে কেন সেগুলি পুকুরে ফেলে দেওয়া হল? কেন তিনি পাঁচিল টপকে পালাতে গিয়েছিলেন?

তবে সেই জীবনকৃষ্ণকে এদিন দেখা গেল রথের অনুষ্ঠানে।

এদিকে একটি চ্য়াট বর্তমানে অনেকের নজর কেড়েছে ।সেখানে নাম সেভ করা ছিল এমলএ জীবন দা। সেখানে লেখা আছে, ‘পদ মানে ক্ষমতা নয়, পদ মানে দায়িত্ব, পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোকের সেবা করা, এটা ভুলে গেলে আসে অহংকার। তারপর পতন।’ তবে এই ভাইরাল চ্য়াটের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।

আর এবার রথের অনুষ্ঠানে গিয়ে জীবনকৃষ্ণ বললেন, এই গ্রামের রথযাত্রার উৎসব ধূমধাম করে পালিত হয়। আমি প্রতিবছর দলমত নির্বিশেষে রথের রশিতে টান দিই। আমি বার বার বলব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির জয় হয়েছে। আগামী দিনে এই বিধানসভায় শুভ শক্তির জয় হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *