Modi on The Sabarmati Report। বিক্রান্তের ‘সবরমতী রিপোর্ট’-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদী

Spread the love

ট্রেলার মুক্তির সময় থেকেই চর্চা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সবরমতী রিপোর্ট। যে ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন টুয়েলভথ ফেল খ্যাত অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে। ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে তৈরি ধীরজ শর্মা পরিচালিত এই ছবি।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির প্রশংসা করে বললেন, সত্য সামনে আসছে। সিনেমা নিয়ে খুব কমই নিজের মতামত রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর প্রশংসা করেছিলেন মোদী। এদিন এক জনৈক এক্স হ্যান্ডেলে ছবির ট্রেলার শেয়ার করে বিস্তারিত লেখেন, কেন প্রত্যেক ভারতীয়র এই ছবিটা দেখা উচিত।

সেই পোস্ট নিজের ভ্যারিফায়েড এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘ভালো বলেছেন। এটা ভালো যে এই সত্যিটা বেরিয়ে আসছে এবং সাধারণ মানুষও সেটা দেখতে পাচ্ছেন। একটি মিথ্য়া আখ্যান কেবল সীমিত সময়ের জন্য স্থায়ী হতে পারে। অবশেষে, সত্যগুলি সর্বদা বেরিয়ে আসবে!’

২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা স্টেশনের কাছে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরায় আগুন লাগানোর ঘটনাকে ঘিরেই ‘সবরমতী রিপোর্ট’। যে ঘটনা নিয়ে গুজরাটে দাঙ্গার সূত্রধর। ধীরজ সারনা পরিচালিত এই ছবি প্রযোজনা করেছেন শোভা কাপুর, একতা আর কাপুর, আমুল ভি মোহন এবং অংশুল মোহন। বিক্রান্ত ম্যাসে ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন রাশি খান্না এবং ঋদ্ধি ডোগরা।

এই ছবিতে অভিনয়ের জেরে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন বিক্রান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। ছবিতে এক সাংবাদিকের ভূমিকায় দেখা মিলেছে তাঁর। সম্প্রতি ধর্ম নিয়ে মন্তব্যের জেরে ‘বিজেপির বন্ধু’ তকমা পেয়েছেন তিনি। তবে একটা সময় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।

এক সাক্ষাৎকারে বিক্রান্ত বলেন, ‘কত লোক বলে এদেশে নাকি হিন্দুরা সংকটে, কই আমার তো সেটা মনে হয় না। আবার কেউ বলেন এদেশে মুসলিমরা সংকটে। সেটাও কই দেখিনা। আদপে কোথাও কেউ বিপদে নেই। যে যার নিজের মতো করে ভালো আছেন।’

কাশ্মীর ফাইলসের প্রশংসাও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রথম নয়, এর আগেও প্রধানমন্ত্রী বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর প্রশংসা করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যে লোকেরা সবসময় বাকস্বাধীনতার ঝাণ্ডা নিয়ে ঘোরেন, সেই গ্যাং গত পাঁচ-ছ’দিনে কেঁপে গিয়েছে। তথ্য, শিল্পের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করার পরিবর্তে সেই সিনেমাকে অস্বীকার জন্য প্রচার চলছে। পুরো একটা মহলের তরফে সেই কাজটা করা হচ্ছে। কেউ যদি সত্য ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানান….তাঁর যেটা সত্যি মনে হয়েছে, সেটা উনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সেই সত্যি স্বীকার করতে চাইছে না, বাকি দুনিয়া সেই সত্যের মুখোমুখি হোক, সেটাও চায় না।’

১৯৯০ সালে উপত্যকা থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেশত্যাগের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ছবিতে অনুপম খের, পল্লবী জোশী, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার এবং অন্যান্যরা অভিনয় করেছিলেন। গত বছর কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিন্দি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উল্লেখ করেছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন যে কংগ্রেস এই ছবির বিরোধিতা করার চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *