Mohun Bagan fans win East Bengal heart। আমাদের বোনের বিচার চাই! টিফোয় বজায় ইস্ট-মোহন ঐক্য

Spread the love

একদিকে মোহনবাগানের জার্সি পরিহিত যুবতীর মুখ। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরিহিত যুবতীর মুখ আছে। দু’জনেই চিৎকার করে কিছু বলতে চাইছেন। সেটার নীচেই লেখা আছে ‘জাস্টিস’। সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘হাতে হাত রেখে লড়াই, আমাদের বোনের বিচার চাই।’ 

মঙ্গলবার ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সমর্থকদের মোহনবাগান সমর্থকদের সেই টিফোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল। একেবারে শেষমুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরে মোহনবাগান সমর্থকরা যেভাবে টিফো নিয়ে এসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার চাইলেন, তাতে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। 

তাঁদের কেউ মোহনবাগান সমর্থক। কেউ আবার ইস্টবেঙ্গলের ফ্যান। কেউ আবার নেহাতই সাধারণ মানুষ। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে তাঁরা আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের জন্য ‘বিচার’ চাইছেন। ‘জাস্টিস’ চাইছেন তরুণী চিকিৎসকের জন্য।

‘ধন্যবাদ মোহনবাগান ফ্যানরা’, আপ্লুত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা

এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বলেন, ‘ধন্যবাদ মোহনবাগান ফ্যানরা।’ অপর এক লাল-হলুদ সমর্থক বলেন, ‘আমি বরাবরই ইস্টবেঙ্গল ভক্ত। কিন্তু এই গ্যালারি দেখে আজ বলছি – ‘জয় মোহনবাগান।’ সেই টিফোর ছবি পোস্ট করে সিপিআইএমের তরুণ তুর্কি তথা ইস্টবেঙ্গল সমর্থক দীপ্সিতা ধর লেখেন, ‘মোহনবাগান গ্যালারি।’ সঙ্গে ‘লাভ’ ইমোজি দিয়েছেন তিনি। পরিচালক শ্রীজিত মুখোপাধ্যায় আবার বলেন, ‘যখন ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই কোনও দল জিতে যায়।’ 

হাইকোর্টের নির্দেশ টিফো নিয়ে প্রবেশ

যদিও মঙ্গলবার সেমিফাইনাল শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত গ্যালারিতে টিফো নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন এক মোহনবাগান সমর্থক। 

সেখানে ধাক্কা খায় রাজ্য। টিফো নিয়ে যুবভারতীতে প্রবেশের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। তারপরই আরজি করের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন মোহনবাগান ফ্যানরা। যে প্রতিবাদটা ডার্বির দিন করার কথা ছিল। কিন্তু ডার্বি বাতিল হয়ে যাওয়ায় যুবভারতীর গ্যালারিতে সেই প্রতিবাদ করতে পারেননি মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের ফ্যানরা। 

‘এবার আরও বড় টিফো তৈরি হবে’

এক মোহনবাগান সমর্থক বলেন, ‘সোজা এবং স্পষ্ট কথা।’ অপর এক সবুজ-মেরুন সমর্থক বলেন, ‘এখানেই তবে শেষ নয় যেন বন্ধু।’ এক মোহনবাগান সমর্থক আবার বলেন, ‘ফাইনালে উঠল মোহনবাগান। অর্থাৎ প্রতিবাদ জানানোর জন্য আরও একটি দিন পাওয়া গেল। এবার আরও বড় টিফো তৈরি হবে। আটকাবে?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *