মোথাবাড়ি হিংসার জেরে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (পূর্বতন ১৪৪ ধারা)। এই আবহে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করলেন, ‘বিজেপিকে আটকাতেই সেখানে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে’। এদিকে জমায়েতে বিধিনিষেধ থাকলেও মোথাবাড়িতে নাকি তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ‘৪-৫টা গাড়ি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।’ এই আবহে পুলিশকে তোপ দেগেছেন সুকান্ত। এরই সঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, তিনি মোথাবাড়ি যাবেনই। এদিকে জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ির হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯টি মামলা রুজু হয়েছে। ৬১ জন গ্রেফতার হয়েছে। এদিকে মোথাবাড়ি যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয়েছে সুকান্তকে। এহেন পরিস্থিতিতে তিনি রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এদিকে পুলিশকে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘শুধু বিজেপির জন্য ১৪৪ ধারা কেন থাকবে? নাকি পশ্চিমবঙ্গে শুধু তোষণের জন্য ১৪৪ ধারা তৈরি হয়েছে? আমি মোথাবাড়ি যেতে গিয়ে যদি বাধা পাই, তাহলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করব। আমরা তো তৃণমূল কংগ্রেস নই যে গুন্ডামি করব। আমাদের দলের কর্মীরা, হিন্দু সমাজের লোকজন সবাই তৃণমূলের পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’ সুকান্ত বলেন, ‘বিজেপির নেতারা গেলেই পুলিশের যত সমস্যা। অথচ আমরা প্রশাসনকে তথ্য-প্রমাণ সহ বলেছি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা তাঁরা কিন্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই এলাকায়। গত ২৭ মার্চ রাতে যখন ঘটনা ঘটে তখন চারজন বিধায়ক থানায় বসেছিল পুরোটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। আপনি ১৪৪ ধারা নাকি ১৬৩ ধারা কী লাগাবেন লাগান। কিন্তু, বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন চার পাঁচটা গাড়ি নিয়ে দাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁর জন্য ১৪৪ ধারা নেই?’ এদিকে সুকান্ত দাবি করেন, তাঁর কাছে খবর আছে যে তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলার হিন্দু নেতারাও মানছেন যে এই হিংসা পূর্বপরিকল্পিত।
এর আগে গত ২৭ মার্চ মালদা জেলার মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেই পোস্টে সুকান্ত লিখেছিলেন, ‘তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদহের মোথাবাড়ি অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙ্গে লুঠ করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রা স্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই! সংখ্যালঘু মুসলিমদের তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ।’