বাবা আগের বছরই মারা গেছেন। ছিল শুধু মা। একবছর কাটতে না কাটতেই অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক শুরু করেন মা। দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা।বার বার মাকে সতর্ক করতে শুরু করেন মেয়ে। এমনকি কয়েকবার আপত্তিকর অবস্থায় দেখেও ছিল মেয়ে। তবে আজ হাতে নাতে ধরে ফেললেন তিনি। মা ও তার প্রেমিকের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন একমাত্র মেয়ে। লজ্জায় চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকতে শুরু করেন মেয়ে। এরপরই কেল্লাফতে। মাকে টানতে টানতে নিয়ে যায় মন্দিরে। সেই প্রেমিকের সাথেই বিয়ে দেয় গুণধর মায়ের। আর তারপরেই পুলিশের হাতে মা এবং তাঁর নতুন স্বামীকে তুলে দিলেন সকলে মিলে ৷
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার আমবাগান এলাকায় ৷ মেয়ে জয়িতা দে-র অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মা রিঙ্কু দে স্থানীয় বাপি পালের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ৷ প্রতিবেশীরা এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন ৷ বাপি পালকে পাড়ায় ঢুকতে নিষেধও করেছিলেন তাঁরা ৷ কিন্তু, রিঙ্কু দে এবং তাঁর প্রেমিক বাপি পালের স্পষ্ট দাবি ছিল, আইনত তাঁরা কোনও অন্যায় করছেন না ৷ কিন্তু, স্থানীয়রা সেসব যুক্তি মানতে চাননি ৷এ নিয়ে মহিলার মেয়ে জয়িতা দে-কে অভিযোগও করেছিলেন প্রতিবেশীরা ৷ জয়িতা দে-ও মায়ের এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর দাবি, 2023 সালে তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন ৷ তার পরপরই তাঁর মা রিঙ্কু দে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ৷ সে নিয়ে তাঁরা কোনও দিন রাখঢাকও করেননি ৷ কিন্তু, স্থানীয়রা এবং মেয়ে সেই সম্পর্কে আপত্তি জানান ৷ মেয়ে জয়িতা দে-র দাবি, আজ তিনি দু’জনকে বাড়ির মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন ৷ সঙ্গে প্রতিবেশীরাও ছিলেন ৷ সকলে মিলেই দু’জনকে ঘরের ভিতর থেকে বের করে আনেন ৷এরপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ তবে, দু’জনকে তখনই পুলিশের হাতে ছেড়ে দিতে রাজি হননি জয়িতা দে এবং পড়শিরা ৷ তাঁরা দাবি করেন, স্থানীয় মন্দিরে বাপি পাল সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করবেন রিঙ্কু দে-কে ৷ তারপরে পুলিশ দু’জনকে নিয়ে যেতে পারবে ৷ অভিযোগ, পুলিশের সামনেই দু’জনকে বিয়ে দেন মেয়ে জয়িতা দে ৷ তারপর পুলিশ বিবাহিত দম্পতিকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায় ৷
জয়িতা দে দাবি করেছেন, “আমি চাই না ওঁরা আর এখানে আসুক ৷ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি ৷ তারা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে ৷ তবে, আবারও এই পাড়ায় এলে, ওঁদের ব্যবস্থা আমরা করব ৷” বাপি পাল দাবি করেছেন, “এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে ৷ আমি ওঁকে ভালোবাসি এবং আজকে কালী মন্দিরে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিলাম ৷ যদি অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে আমি বিয়ে করতাম না ৷”