চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে চূড়ান্ত ‘হতাশ’ চাকরিহারা শিক্ষকরা।
তাঁরা সাংবাদিক বৈঠক বলেন, আজ কেন উনি বললেন যে আগে যোগ্যটাদের দেখি তারপর অযোগ্যদেরটা ভাবব। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শুনেছি এখনই টার্মিনেশন লেটার দিচ্ছেন না। টারমিনেশন লেটার না দেওয়া মানে আমাদের চাকরি যাচ্ছে না আপাতত। স্যালারি বন্ধ হবে না আপাতত। এটা তো কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। আমরা যে জায়গায় ছিলাম সেটা সুরক্ষিত থাকছে তেমন তো নয়। আমাদের চাকরিটা তাহলে সরানোর দিকে? সেটা কি বাঁচানো যাবে না? এনিয়ে কোনও সদুত্তর পাইনি। মুখ্য়মন্ত্রী আর একটা জিনিস বলেছেন যে একটা খেলা চলছে বিরোধীদের। বিরোধীদের খেলা নয়। এটা নিয়ে রাজ্য সরকারও খেলেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল হোক বা যে কোনও রাজনৈতিক দল হোক না কেন সবাই খেলছে। আমরা এখন ভোটব্যাঙ্ক। যে জায়গাটা আমরা দাঁড়িয়ে সেখানে মানসিক অবস্থা শোচনীয়…আমরা যোগ্যরা একসঙ্গে আছি। জোট বেঁধে আছি। আনটেনটেড জবলেস টিচার্স অ্যান্ড নন টিচিং স্টাফ।
অপর এক শিক্ষক বলেন, আমাদের কেস সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাস থেকে খারিজ হয়েছে। রিভিউ প্রসেস কিন্তু জটিল। …একমাত্র আন্দোলনই হল রাস্তা। কীভাবে আমরা আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাব তার সূচি তৈরি হচ্ছে। জেলা ভিত্তিক, কেন্দ্রীয় ভাবে। কোনও একটা জায়গায় প্রথমে অবস্থান করব। এরপর জেলা ভিত্তিক আন্দোলনও হবে।
আপনারা কী স্কুলে ফিরছেন?
আমাদের তো টার্মিনেশন হয়নি। স্কুল যাব না কেন? আমরা বাধা সরিয়ে এগিয়ে যেতেই চাই। বলেন এক শিক্ষক।
মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককে আংশিক বলে উল্লেখ করলেন চাকরিহারারা। তিনি বলেন, কাল থেকে আন্দোলন। ধর্মতলায় আন্দোলন হবে। তবে লাগাতার হবে কিনা আর কোথায় কোথায় হবে সেটাও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।
আপাতত ধর্মতলায় অবস্থান হবে তাঁদের। সোমবারও তাঁরা রাত কাটাবেন ধর্মতলায়।
এদিকে চাকরি খাওয়ার রাজনীতির প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ৯ এপ্রিল তৃণমূলের ছাত্রযুবদের মিছিল হবে। কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল হবে।জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন…জেলে যাবেন ব্যাগ গোছান। তিনি বলেন, নির্লজ্জের মতো তৃণমূলের যুব শাখা কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করবে বলছে। লুম্পেনদের নামাতে চাইছেন মমতা।