MP Haris Beeran: ‘আক্রান্ত সংখ্য়ালঘুরা! মোদীর ভাষণে আঘাত লাগে…’

Spread the love

দেশ জুড়ে সংখ্য়ালঘুদের উপর কী ধরনের অত্যাচার নেমে আসছে তা নিয়ে রাজ্যসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের এমপি অ্য়াডভোকেট হরিশ বীরান। কেরল থেকে মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথগ্রহণ করেই তিনি সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। ৪ঠা জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে কীভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে সেটাই তিনি তুলে ধরেন। 

তিনি বলেছিলেন,  ‘আমি বিশ্বাস করি আমার দেশের মানুষ আমাকে ভোট দেবেন। যেদিন আমি রাজনীতিতে হিন্দু-মুসলিম নিয়ে কথা বলা শুরু করব, সেদিনই আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে থাকার যোগ্যতা ও ক্ষমতা হারাব। আমি হিন্দু-মুসলিম করব না। এটাই আমার সংকল্প।’ এদিকে এর আগে একাধিক নির্বাচনী ভাষণে মোদীর গলায় ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘যাদের বেশি সন্তান রয়েছে’র মতো কথা শোনা গিয়েছিল। তাঁর এই সব মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মোদী বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র মুসলিমদের সম্পর্কে কথা বলেননি। প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের বিষয়ে কথা বলেছি। আমি হতবাক। এমন কেন হয় যে, যখনই কেউ ‘বেশি সন্তান আছে’ এমন লোকের কথা বলে, তখন অনুমান করা হয় যে তারা মুসলমান? মুসলমানদের প্রতি এত অবিচার কেন? দরিদ্র পরিবারগুলোতেও এই অবস্থা। যেখানে দারিদ্র্য আছে, সেখানে সামাজিক বৃত্ত নির্বিশেষে সন্তান সংখ্যা বেশি। আমি হিন্দু বা মুসলমান কারও কথাই বলিনি। আমি বলেছি, আপনি যতগুলি বাচ্চার যত্ন নিতে পারবেন, ততগুলি সন্তান নেওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে দেবেন না, যেখানে সরকারকে আপনাদের সন্তানদের খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি রাজ্যসভায় বলেন, জুন মাসে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে দলিত ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য, যাঁর বক্তব্য শোনে গোটা বিশ্ব তাঁর বক্তব্যে এমনভাবে করা হচ্ছে যে একটা বিশেষ সম্প্রদায় তাতে আঘাত পাচ্ছে।  সংখ্য়ালঘুদের উপর আঘাত আসছে। এর নানা নজির রয়েছে। রায়পুরের ঘটনা হয়েছে। মধ্য়প্রদেশের, উত্তরপ্রদেশে, গুজরাটে এই ঘটনা হয়েছে। ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্য গুজরাটে একজনের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। বক্তব্যে এমন কথা বলা হচ্ছে যার মাধ্যমে সংখ্য়ালঘুদের উপর আঘাত হানা হচ্ছে। এরপর তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছে যদি কোথাও ঘৃণাসূচক ভাষণ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে পুলিশ স্বতপ্রণোদিত হয়ে মামলা করতে পারে। কিন্তু পুলিশ সেটা করছে না। কোথাও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে যে মন্তব্য করছেন তা অবমাননাকর। আমরা বলছি সরকার সংবিধানকে রক্ষা করুক। সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুক। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী যেন গোটা বিষয়টি শুনে তাঁর জবাব দেন। 

এদিকে বিগত দিনে সংবাদ চ্যানেল সিএনএন-নিউজ১৮-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নির্দিষ্ট কিছু মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *