মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসার জেরে অনেকেই ঘরছাড়া বলে অভিযোগ করল বিজেপি। এই নিয়ে হাতে যৎসামান্য জিনিসপত্র নিয়ে গঙ্গাপারে এসে ভিড় করা মানুষজনের ভিডিয়ো পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতারা। অমিত মালব্য, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, সুকান্ত মজুমদার, কেয়া ঘোষরা এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন। তাঁরা সবাই অভিযোগ করেছেন, প্রাণ বাঁচাতে বহু আতঙ্কিত মানুষ শেষ সম্বলটুকু নিয়ে ধুলিয়ান থেকে বৈষ্ণবনগরের পারলালপুরে পালাচ্ছেন।
এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের গড়া হিন্দু হোমল্যান্ড পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুদের দুর্বিষহ পরিণতি দেখুন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেআব্রু তোষণের রাজত্বে হিন্দুরাই এখন নিজভূমে পরবাসী হয়ে জীবনধারণ করতে বাধ্য… কট্টরপন্থী মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের উপদ্রবে ভিটে-মাটি ছেড়ে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের বেশ কয়েকটি পরিবারকে ঠাঁই নিতে হয়েছে মালদার পারালাল হাই স্কুল প্রাঙ্গণে! হিন্দুদের জন্য এই চরম বিপদশঙ্কুল দিনেও তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে! স্বাধীন ভারতের মাটিতেও বিভাজনের বিভীষিকাময় ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকে চাক্ষুষ করাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!’
এদিকে শ্রীরূপাদেবী নিজের পোস্টে লেখেন, ‘সামশেরগঞ্জে বড় ধরনের মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাই আতঙ্কিতরা বাড়িঘর ছেড়ে বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর গ্রামের নদীর তীরে আশ্রয় নিয়েছেন।’ অমিত মালব্য আবার নিজের পোস্টে লেখেন, ‘বাঙালি হিন্দুদের পূর্বপুরুষদের জন্মভূমি পশ্চিমবঙ্গ। তবে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সেই পূর্বপুরুষদের জন্মভূমির সাথে খুব একটা সাদৃশ্যপূর্ণ নয় আজকের মুর্শিদাবাদ। হিন্দু পরিবারগুলি, বিশেষ করে মহিলা এবং মেয়েরা সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান থেকে নৌকায় পালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনিয়ন্ত্রিত এবং নির্মম ক্ষমতার পিছনে ছুটতে থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একসময় যা ছিল এক অদ্ভুত, মনোরম অঞ্চল, এখন তা রক্তপাত এবং ভয়ের অঞ্চলে রূপান্তরিত হয়েছে।’