Murshidabad Latest Situation Update। বাড়ির ছাদে গিয়ে গিয়ে পাথর পরিষ্কার করছে BSF

Spread the love

ফের মুর্শিদাবাদে গুলি চলার ঘটনা ঘটল। এতে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কে আছে, তা জানা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, জখম যুবকের নাম সামশের নাদাব। সে আপাতত গুরুতর অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরিবারের দাবি, ১২ এপ্রিল বিকেলের পর থেকেই নাকি আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সামশেরেরে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সামশেরকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে ফেরিওয়ালার কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। তার কোমরে গুলি লেগেছে বলে জানা যায়।

এদিকে মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি এখনও থমথমে। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নেমেছে বিএসএফ। আপাতত ৮ কোম্পানি বিএসএফ মোতায়েন আছে মুর্শিদাবাদ জেলয়। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছাদ থেকে পাথর পরিষ্কার করছে বিএসএফ। এদিকে রাজ্যের ২৩ জন পুলিশকর্তাকে ‘বিশেষ ডিউটিতে’ মুর্শিদাবাদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের অতিরিক্ত ডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে এই আধিকারিকদের সামশেরগঞ্জ থানায় রিপোর্ট করতে বলেছেন।

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।

এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *