রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা আর্জি মান্যতা পেল কলকাতা হাইকোর্টে। মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শান্তিরক্ষায় মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। জানিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্য়ের অন্য়ত্র যদি এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে সেখানেও রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারবে।
এদিকে কোর্টের এই নির্দেশ আসার পরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতার সরকারের গালে বড় থাপ্পড় পড়ল।
দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বিচার ব্য়বস্থাকে প্রণাম করি। কোর্টের রায়ে মমতা সরকারের গালে থাপ্পড়। বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
নির্দিষ্ট কাউকে রক্ষা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, সামগ্রিকভাবে সকলকে সুরক্ষা দিতে হবে। জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত জানিয়েছে এই ধরনের অভিযোগ এলে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, কোর্টের রায়ে মমতা সরকারের গালে থাপ্পড়।
শুভেন্দু বলেন, ছুটির দিনে কোর্ট খুলে এই রায় দেওয়া হয়েছে। বিচার ব্য়বস্থাকে প্রণাম করি। আজকের এই রায় বাংলার মানুষের জন্য়, বিশেষ করে হিন্দুদের জন্য় বড় জয়, যাঁরা জেহাদি, চরমপন্থী ও পুলিশের হাতে অত্যাচারিত।মমতার সরকারের গালে থাপ্পড় পড়ল, রাজীব কুমারের গালে থাপ্পড় পড়ল।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন ধুলিয়ানে বোমা পড়ছে। শুভেন্দু বলেন, আর পড়বে না। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, কোর্ট অর্ডার দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে মুর্শিদাবাদে। সিএপিএফের ক্ষেত্রে এডিজি সিআইএসএফকে মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
ভয়াবহ হিংসা ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদে। একেবারে ভয়াবহ হিংসা। একের পর এক সরকারি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি। তুমুল অশান্তি। পুলিশ অশান্তি মোকাবিলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা কতটা সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ভয়াবহ তাণ্ডব মুর্শিদাবাদে। সুতি, ধুলিয়ানে ভয়াবহ পরিস্থিতি। এমনকী শপিং মলেও লুঠপাট করা হয়েছে। কিন্তু ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের সঙ্গে শপিং মলের লুঠপাটের কী সম্পর্ক সেটা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না। তবে এবার আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঠান্ডা হতে পারে মুর্শিদাবাদ। আশায় বাসিন্দারা। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গেল।