ওয়াকফ হিংসার জেরে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন গ্রম থেকে ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েকশো মানুষ। স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, সংখ্যাটা হাজারেরও বেশি। তবে ধীরে ধীরে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। ঘরছাড়ারাও বিএসএফের টহলে ফিরে পাচ্ছেন সাহস। এই আবহে প্রায় ১৫০-২০০ জন নিজেদের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাকিদেরও বাড়িতে ফেরাতে উদ্যোগী বিএসএফ। এদিকে দাবি করা হচ্ছে, ঘরছাড়ারা শুরু মালদা নয়, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে গিয়েও আশ্রয় নিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৩০টি পরিবার মুর্শিদাবাদে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যায়। প্রশাসনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ৫০০ জন মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন ওয়াকফ হিংসার জেরে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে ইতিমধ্যেই ঘরে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। তবে ঘরছাড়াদের দাবি, শুধুমাত্র মালদা নয়, ঝাড়খণ্ডেও অনেকে পালিয়ে গিয়েছিল প্রাণ বাঁচাতে। এদিকে গত ৪৮ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে নতুন করে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পুলিশ এবং বিএসএফ হিংসা কবলিত এলাকায় টহল দিয়ে চলেছে। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস দিচ্ছে বিএসএফ এবং পুলিশ।
ঘরছাড়া অনেকেরই অভিযোগ, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে লুঠ চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অনেকেরই বাড়ি থেকে টাকা, গয়না চুরি করা হয়েছে। এমনকী গবাদি পশুও চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। এরই মাঝে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারি জারি আছে। এদিকে সামসেরগঞ্জে হরগোপিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলবারই। একজনকে গ্রেফতার করা হয় বীরভূম থেকে, অপরজনকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ থেকে।
এদিকে ঘরে ফেরার পর ফের নতুন করে সাধারণ মানুষ কোনও হিংসার কবলে না পড়েন, তার জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আস্থা ফেরাতে শান্তি কমিটি তৈরি করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের গ্রামে গ্রামে। পথসভা করে শান্তির বার্তা দিচ্ছে সেই সব কমিটি। এদিকে ধুলিয়ানের রতনপুর গ্রামে তো বাসিন্দারাই বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করেছেন কোনও ধরনের হামলা রুখতে।