মুর্শিদাবাদে গত কয়েকদিন ধরেই ওয়াকফ ইস্যুতে চলছে হিংসা। এর জেরে আতঙ্কিত সামশেরগঞ্জের সাধারণ মানুষ। সেখানেই গতকাল একটি বাড়িতে ঢুকে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এরই সঙ্গে যথেচ্ছ লুটপাট চলেছে ধুলিয়ানে। কেন্দ্রের আনা ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে তাণ্ডব চলেছে বাংলার সাধারণ মানুষের ওপর। এহেন পরিস্থিতিতে বিএসএফের থেকে আগেই সাহায্য চেয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। এই আবহে বিএসএফের তরফ থেকে জওয়ান পাঠানো হয়েছিল। গতকলা বিএসএফ জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ায় জেলা জুড়ে। এরই মধ্যে গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় পৌঁছলেন বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি কর্ণি সিং শেখাওয়াত।
প্রসঙ্গত, গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো উচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশও দেয়। এরপরই দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আইজি পৌঁছে যান ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। এরই সঙ্গে জানা যায়, গতকাল বিএসএফের তরফ থেকে মুর্শিদাবাদে জওয়ানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এদিকে সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলে খুনের পর সেই ঘটনাতেও টহলদারি বাড়ায় বিএসএফ। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিএসএফ জওয়ানদের দেখে কাতর স্বরে তাঁদের বাঁচানোর আর্জি জানান।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জাফরাবাদ, লক্ষ্মীমন্দির-সহ সামশেরগঞ্জের একাধিক অংশে হিংসা জারি ছিল গতকালও। এর মধ্যে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল জাফরাবাদে। এরই মাঝে একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি হাতজোড় করে বিএসএফ জওয়ানকে বলছেন, ‘বাজারে আমার মিষ্টির দোকান রয়েছে। কিছু লোক বাইরে থেকে এসে আমার দোকানে আক্রমণ করে লুট করেছে আমার দোকান। বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আমাদের বাড়ির লোকেরা ঝাড়খণ্ডে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।’ এদিকে বিএসএফ জওয়ানদের এলাকার কয়েকজন মহিল বলেন, ‘হামলাকারীরা বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলেছে।’ একজন মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর দোকান পুরো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন জ্বালানো হয়েছে সেখানে।