সোমবার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের(Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি(Naushad Siddiqui)। ভাঙড়ের বিধায়ক তিনি। এদিকে প্রশাসনিক জটিলতার জেরে তিনি বিধায়ক এলাকা উন্নয়নের টাকা খরচ করতে পারছেন না বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। তার জেরে তিনি এবার খোদ মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গেলেন।
এদিকে সোমবারই হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন। আর সেদিনই মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে নওশাদের দেখা হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মধ্য়ে কৌতুহল তৈরি করে। রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা ছড়ায়। অনেকেই ২ আর ২এ চার করার চেষ্টা করছিলেন।
উভয়ের মধ্য়ে মিনিট ২০ কথা হয় বলে খবর। নওশাদের অভিযোগ, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে আড়াই বছর ধরে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচ করতে পারছেন না তিনি। প্রশাসনিক নানা জটিলতার কারণে তিনি টাকা খরচ করতে পারছেন না বলে নিজেই অভিযোগ তোলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে সময় দেন মুখ্য়মন্ত্রী। একটু আগেই তিনি চলে আসেন। পরে কথাও হয় মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে।
মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে তিনি বাইরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। নওশাদ বলেন, ‘আড়াই বছর ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতি ১, ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতি ২ আমার কাজকে নিয়ে শুধু টাইম কিল করছে। জেলা থেকে একটা অর্ডার করেছে যেখানে এডিএম( ডেভেলপমেন্টের) সই আছে। তারা আমার কাজটা আবার সেই পুনরায় পঞ্চায়েত সমিতির হাতেই তুলে দিয়েছে। যে পঞ্চায়েত সমিতি আমার আড়াই বছর নষ্ট করেছে। আবার তাকে দিয়েছে। আমার সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই। …তিনি বলেন, সর্বোচ্চ জায়গায় এসেছি। এরপরেও যদি না আমার কাজ ঠিকঠাক করা হয় তাহলে আর কিছু বলার নেই। তাহলে আমি বলে যাচ্ছি , আমার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে এসে…৩ কোটি টাকা খরচ করার ক্ষমতা আমার আছে সেই টাকা খরচ করব। ওদের কে নিয়ন্ত্রণ করছে সেই বিতর্কে আমি যেতে চাই না। আমি চাই কাজ।’
এরপরই এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন কবে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন?
এর উত্তরে নওশাদ বলেন, ‘কবে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি? আমার নিজের একটা পার্টি আছে। পার্টির আমি একটা চেয়ারম্যান। ৪২ দিন জেলে খেটে, ১৩ খানা কেস মাথায় নিয়ে ঘুরছি। ‘