নেপালে(Nepal) পুষ্পকুমার দাহালের সরকার পড়ে গেল নেপালে! নেপালের রাজনীতিতে পুষ্পকুমার দাহাল ‘প্রচণ্ড’ নামেই খ্যাত। সেই ‘প্রচণ্ড’ এর সরকারের পাশ থেকে সরে গেল জোট শরিকরা। ভোটের মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই এই বড় ধাক্কা খেয়ে দাহাল সরকার আপাতত সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকে সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে।
নেপালে দাহাল সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ৩ জুলাই সমর্থন সরিয়ে নেয়। তারফলেই আসন সংখ্যান নিরিখে পড়ে যায় দাহাল সরকার। কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল ইউনিফায়েড মার্কিসিস্ট লেলিনিস্ট, দল থেকে ৮ মন্ত্রী করেছেন পদত্যাগ। গণহারে এই ইস্তফার জেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে নেপালের বর্তমান সরকার। এর হাত ধরেই তারা সরকার থেকে আনুষ্ঠািকভাবে বেরিয়ে গিয়েছে। এর আগে, নেপালের এই পার্টিই সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুষ্পকুমার দাহালকে ইস্তফা দিতে বলে। উল্লেখ্য, এই পার্টিই দাহাল সরকারের সবচেয়ে বড় শরিক ছিল। এদিকে, জানা যায়, পুষ্পকুমার দাহাল তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাননি। এছাড়াও পার্টি থেকেও ইস্তফা দিতে চাননি তিনি। সেই জয়গায় তিনি ৩০ দিনের মধ্যে আস্থা ভোটের রাস্তায় যেতে চান তিনি। এদিকে, নেপালি কংগ্রেস এবং সিপিএন-ইউএমএল একটি নতুন জোট গঠনের পথে রাতারাতি ভাবনা চিন্তা শুরু করতেই দাহাল সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার বিষয়টি আরও ত্বরান্বিত হয়।
চিপ হুইপ মহেশ বারতাউলা বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরিই প্রধানমন্ত্রীকে জানাচ্ছি যে আমরা সরকার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি, আর আমাদের মন্ত্রীরা ইস্তফা জমা দেবেন।’ কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল ইউনিফায়েড মার্কিসিস্ট লেলিনিস্ট-এর নেতা হলেন কেপি শর্মা ওলি। সেই পার্টির তরফেই দাহাল সরকারকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন দেওয়া হয়। সেখানে সাফ বলা হয়েছিল যে, দাহালকে যাতে পদত্যাগ করেন, আর সেই রাস্তা ধরে যাতে নতুন সরকার তৈরি করা যায়। তারা বলেছিলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রীরা পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং দল আনুষ্ঠানিকভাবে বর্তমান সরকারকে দেওয়া সমর্থন প্রত্যাহার করবেন।’