Nepal Hindu Monarchy Demand Latest Updates। রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে হইচই নেপালের সংসদে

Spread the love

রাজতন্ত্র ইস্যুতে নেপালি সংসদের নিম্নকক্ষে হইচই। এর জেরে নেপালের সংসদ অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। এদিকে ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির’ কারণে অধিবেশনের সরাসরি সম্প্রচার করা যায়নি বলে দাবি করেছে নেপালের সংসদের সচিবালয়। তবে হট্টগোলের অডিয়ো বিহীন একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে সংসদের সচিবালয়ের তরফ থেকে। তাতে দেখা গিয়েছে, সংসদ সদস্যরা ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে বারবার সাংসদদের নিজেদের আসনে ফিরতে বলছেন। তবে তাতে কাজ হচ্ছে না। এদিকে প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির শাসকগোষ্ঠী অভিযোগ করেছে, গত ২৮ মার্চের হিংসা নিয়ে আলোচনা বানচাল করতেই বিরোধীরা হট্টগোল করেছ সংসদে।

এদিকে ৩০ মার্চ সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি। তার আগে প্রধান বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএন (মাও সেন্ট্রাল) নেতা পুষ্প কমল দহালের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন ওলি। এদিকে সর্বদলীয় বৈঠকে রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টিকে ডাকা হয়নি। এর আগে সংসদে আরপিপি প্রধান রাজেন্দ্র লিংডেনকে হইচই করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে যে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবির নেপথ্যে যে আন্দোলন হচ্ছে, তার সামনের সারিতে আছে আরপিপি।

এদিকে নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের নিরাপত্তা কমিয়ে দিয়েছে সেই দেশের সরকার। আগে প্রাক্তন রাজার জন্যে ২৫ জন নিরাপত্তারক্ষী বরাদ্দ থাকত। এখন তা কমিয়ে ১৬ করা হয়েছে। এদিকে সংসদের সবচেয়ে বড় দল নেপালি কংগ্রেসের দাবি, কাঠমান্ডুর হিংসার জন্যে জ্ঞানেন্দ্রকে দায়ী করা উচিত। এদিকে পুষ্প কমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড এই হিংসার জন্যে প্রাক্তন রাজাকেই দায়ী করেছেন।

গত কয়েকদিন ধরেই নেপালে হিন্দু রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি উঠেছে। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছিল ২৮ মার্চ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ে রাজতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের হামলায় অন্তত দু’জন নিহত হয়েছিলেন সেদিন। রাজধানী কাঠমান্ডুতে কার্ফু জারি করা হয়েছিল এর জেরে। বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করেছিল সরকার। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার সন্দেহে নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নেপাল সরকার। কাঠমান্ডুর পুরসভার মেয়র বলেন্দ্র শাহ চিঠি লিখে জরিমানা আরোপ করেছেন জ্ঞানেন্দ্র শাহের ওপর।

উল্লেখ্য, সংসদীয় ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ২০০৮ সালে নেপালে ২৪০ বছরের রাজতন্ত্রে ইতি টানা হয়েছিল। যদিও মাঝেমধ্যেই রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি তোলেন অনেকেই। এই আবহে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নেপালের গণতান্ত্রিক দিবসে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের ভিডিয়ো বার্তার পরে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে হিন্দু রাজতন্ত্রের দাবি। ২৮ মার্চ পূর্ব কাঠমান্ডুর তিনকুনে এলাকায় মিছিল করেন হাজার-হাজার মানুষ। হাতে রাজা জ্ঞানেন্দ্রর ছবি এবং নেপালের জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘দেশকে বাঁচাতে রাজা ফিরে আসুন’, ‘দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন হোক’, ‘আমরা রাজতন্ত্র ফেরত চাই’ স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা। এদিকে নেপালে ফের যাতে রাজতন্ত্র ফিরে না আসে, তার জন্যে নেপালি কংগ্রেস এবং বামদলগুলি একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *