ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI) সঞ্জীব খান্না আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাইকে সুপারিশ করেছেন এবং তাঁর নাম কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন। এই সুপারিশের ফলে বিচারপতি গাভাই ভারতের ৫২তম প্রধান বিচারপতি হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে।
বিচারপতি গাভাই ১৪ মে ৫২তম CJI হিসেবে শপথ গ্রহণ করার কথা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার আগামী ১৩ মে অবসর গ্রহণ করার কথা রয়েছে। ঠিক তার পরদিনই রয়েছে বিআর গভাইয়ের শপথ।
জানা যাচ্ছে, ছয় মাসের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিতে চলেছেন জাস্টিস বিআর গভাই। তাঁর চলতি ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসেই অবসর গ্রহণের কথা রয়েছে।
২০০৭ সালে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিচার বিভাগীয় পদে উন্নীত হওয়া বিচারপতি কে.জি. বালকৃষ্ণণের পর, বিচারপতি বি. আর. গাভাই দ্বিতীয় দলিত ব্যক্তি হিসেবে প্রধান বিচারপতির পদ অলংকৃত করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হিসেবে, বিচারপতি গাভাই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রায়ে জড়িত ছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে মোদী সরকারের ২০১৬ সালের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা এবং নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা।
বিচারপতি গাভাইয়ের আইনি কর্মজীবনের এক নজর
বিচারপতি গাভাই ১৯৮৫ সালে তাঁর আইনি কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথমে প্রয়াত রাজা এস ভোঁসলে, প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং হাইকোর্ট বিচারপতির সাথে কাজ করেন, এরপর ১৯৮৭ সালে বোম্বে হাইকোর্টে স্বাধীনভাবে আইনের কাজ শুরু করেন।
বিচারপতি গাভাই সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক আইনে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি নাগপুর ও আমরাওয়তির পৌর কর্পোরেশন, আমরাওয়তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং SICOM ও DCVL-এর মতো রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন সহ বেশ কিছু নাগরিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
১৯৯২ সালে তাঁকে বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে অ্যাসিসটেন্ট গর্ভনমেন্ট প্লেডার এবং অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালে একই বেঞ্চে তিনি সরকার প্লেডার এবং পাবলিক প্রসিকিউটর হন।
২০০৩ সালে তাঁকে বোম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
বিচারপতি গাভাই মুম্বাইতে হাইকোর্টে বেশ কিছু বছর দায়িত্ব পালন করেন এবং নাগপুর, ঔরাঙ্গাবাদ এবং পানাজিতে বেঞ্চেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২৪ মে ২০১৯ সালে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত করা হয়।