NHRC on Beggars। কতজন ভিখারি আছেন?

Spread the love

ভিক্ষাবৃত্তিতে(Beggars) নিয়োজিত পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষায় এবার বিরাট নির্দেশিকা জারি করল জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন। ন্যাশানাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকায় একাধিক পয়েন্টকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

১) কতজন ভিক্ষাবৃত্তিতে(Beggars) নিয়োজিত রয়েছেন তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনলাইনে আপডেট করে রাখতে হবে।

২) সেল্টার হোমে তাদের রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের পরিচয়পত্র দিতে হবে। তাদের চিকিৎসার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা স্থানীয়স্তরে করতে হবে।

৩) সেল্টার হোমে তাদের থাকার, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪) যারা ভিক্ষা করছেন এমন ৬-১৪ বছর বয়সিদের জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫) তারা যাতে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরে আসে ও দারিদ্রতা দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬) এনজিও সহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপকে এব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে তাদের লোনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭) তাদের প্রয়োজনীয় সচেতনতার কাজ করে যেতে হবে। বলা হয়েছে এই সমস্ত পদক্ষেপের মাধ্য়মে জানতে হবে কেন তারা ভিক্ষে করতে নামতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের অধিকার রক্ষার জন্য সব ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে ফুটপাতে রাত কাটান এমন বহু মানুষ আছেন। তাঁরা যে সকলেই ভিখারি এমনটা নন। আবার বহু মানুষ রয়েছেন ভিক্ষা করেই যাদের দিন চলে। কিন্তু তাঁদেরও যে অধিকার রয়েছে সেটা অনেক সময়ই আমরা ভুলে যাই। এবার সেই অবহেলিত মানুষদের জন্য ভাবছে সরকার।

তবে ইতিমধ্য়েই কলকাতায় ফুটপাতবাসীদের জন্য ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। এবার গোটা দেশেই ভিখারীদের অধিকার রক্ষার জন্য এগিয়ে এল কমিশন। এদিকে ফুটপাতবাসীদের নানা সময় নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। ২০২২ সালে এই কলকাতার এক ফুটপাতবাসী শিশুকে পিষে দিয়েছিল গাড়ি।

কলকাতার লেনিন সরণীতে সেই ঘটনা হয়েছিল। আট বছর বয়সি এক কিশোরী সারাদিনের শেষে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছিল রাস্তার পাশে। এদিকে বহুতল থেকে বের হওয়া একটি গাড়ি পিষে দিয়েছিল ওই কিশোরীকে। মর্মান্তিক মৃত্যু।তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর নাম তৃষা দত্ত।

মেয়েটির মায়ের দাবি ছিল, গেটের একপাশে শুয়েছিল মেয়েটা। চালক কীভাবে ওর উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দিলেন? তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে। তালতলা থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল।

ফুটপাতই ঠিকানা ছিল তৃষার। ওখানেই পড়াশোনা, খেলাধুলা। কষ্টের সংসার। ফুটপাতে বসে রাস্তার আলোতে পড়াশোনা করত ফুটফুটে কন্যা। হয়তো স্বপ্ন দেখত বড় হওয়ার। মা রান্নার কাজ করেন। বাবা নেই। এক দাদা আর মাকে নিয়ে সংসার। রাত গভীর হওয়ার আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিল কিশোরী। যেখানে সে শুয়েছিল সেদিকের দরজাটা বন্ধ ছিল। তার পাশে একটি গেট রয়েছে। সেটি খোলা ছিল। সেই গেট দিয়েই গাড়ি ঢুকছিল ও বের হচ্ছিল।

ফুটবাসীদের দাবি, আমাদের তো অন্য কোথাও যাওয়ার পরিস্থিতিও নেই। গাড়ির চালক যদি একটু সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাতেন তবে এই করুণ পরিণতি হত না।

তবে এবার অন্তত সহায় সম্বলহীনদের কথা ভাবা হচ্ছে এটাই স্বস্তির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *