আরও বেশি মুসলিম যদি IAS-IPS হন, তাহলে সমাজেরই উপকার হবে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। স্পষ্টবাদী আচরণের জন্য পরিচিত গডকড়ি ১৫ মার্চ একটি অনুষ্ঠানে বলেন যে তিনি জাতপাত এবং ধর্মকে জনসমক্ষে আনেন না। তাঁর কথায়, তিনি এমনটা করেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে লোকেরা সমাজসেবাকে সবকিছুর চেয়ে বেশি মূল্য দেয়। নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে গডকড়ি বলেন, ‘জো করেগা জাত কি বাত, উসকো মারুঙ্গা লাথ।’ অর্থাৎ, যে জাতপাত নিয়ে কথা বলবে, তাঁকে লাথি মারব। গডকড়ি আরও বলেছিলেন যে নির্বাচনে পরাজয় বা মন্ত্রিত্ব হারানো সত্ত্বেও তিনি এই দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রেখেছিলেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ মার্চ নানমুডা ইনস্টিটিউটের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন গডকড়ি। সেই সময় তিনি বলেন, ‘আমরা কখনওই এসব (জাতপাত বা ধর্ম) নিয়ে বৈষম্য করি না। আমি রাজনীতি করি এবং এখানে অনেক কিছু বলা হয়। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি নিজের মতো করে কাজ করব এবং কে আমাকে ভোট দেবে তা নিয়ে ভাবব না। আমার বন্ধুরা বলে যে আমার নাকি এটা-ওটা বলা উচিত হয়নি, কিন্তু আমি জীবনে এই নীতিটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি- আমি নির্বাচনে হারলাম বা মন্ত্রীর পদ না পেলেও তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’
গডকড়ী আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে তিনি যখন এমএলসি ছিলেন, তখন তিনি আঞ্জুমান-ই-ইসলাম ইনস্টিটিউট (নাগপুর) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মুসলিম সম্প্রদায় থেকে যদি আরও ইঞ্জিনিয়ার, আইপিএস এবং আইএএস অফিসার উঠে আসে তবে প্রত্যেকের উন্নতি হবে। আমাদের কাছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের উদাহরণ রয়েছে। আজ আঞ্জুমানে ইসলামের ব্যানারে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে। পড়াশোনার সুযোগ না পেলে কিছুই হত না। এটাই শিক্ষার শক্তি। বদলে দিতে পারে জীবন ও সমাজ।