ঠাকুরপুকুর গাড়ি দুর্ঘটনা বর্তমানে চর্চার কেন্দ্রে। অভিযোগ উঠেছে যে মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে এক ব্যক্তিকে পিষে দিয়েছেন পরিচালক ভিক্টো দাস। সেই ঘটনা নিয়ে এবার সরব হলেন নুসরত জাহান এবং যশ দাশগুপ্ত।
যশের কথায়, ‘এটা শুধুমাত্র ইন্ডাস্ট্রির বিষয় নয়। তিনি কোনও একটা ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন বলে এটা হচ্ছে, সেটা কিন্তু নয়। ভারতের নাগরিক হিসেবে নিজেরই দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। ক্যামেরার সামনে আমরা জ্ঞান দেব না। পার্টি আমরাও করি। কিন্তু আমার মজার জন্য আমি কোনও মানুষের জীবন ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিতে পারি না। কারণ একবার প্রাণটা চলে গেলে সেটা তো ফিরিয়ে আনা যাবে না। কোনও টাকাই সেটা ফেরাতে পারেন না। কোনও ইনসিওরেন্স কোম্পানি এটা ফিরিয়ে দিতে পারবে না। যে বা যাঁরা এটার জন্য দায়ি, তাঁদেরও তো পরিবার আছে। তাই আমার মনে হয়, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় আমরা আমাদের বাবা-মা, সন্তান, স্বামী বা স্ত্রী’র কথা একটু মাথায় রেখে বাইরে যাব। নিজেকে এতটা ভেসে যেতে দিলে হবে না। একটা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য, অনেকগুলো মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যায়।’
এই প্রসঙ্গে নুসরত বলেন, ‘দায়িত্ববান হওয়াটা তো নিজের হাতে। তাই অবশ্যই আমরা জ্ঞান দেব না। কিন্তু এটাই বলব মজা করুন, তবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে। জীবনে মূল্যটা অনেক, আসলে জীবন অমূল্য। নিজের জীবনের মূল্যটা বুঝুন। অন্যের জীবনের মূল্যটাকেও গুরুত্ব দিন। যদি আমরা এই বিষয়গুলো মাথায় রাখি, তাহলে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।’ নুসরতের কথার রেশ ধরে, যশ শেষ করেন সেই অতি পরিচিত প্রবাদ দিয়ে। নায়ক বলেন, ‘যাঁর যায় তাঁর যায়’।
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল ভিক্টো দাস পরিচালিত ‘ভিডিয়ো বৌমা’-র টিআরপি ভালো আসায় শনিবার রাতভর পার্টি করেন পরিচালক-সহ সিরিয়ালের আরও বেশ কয়েকজন তারকা। যাঁর মধ্যে ছিলেন আরিয়ান ভৌমিক, অভিনেত্রী ঋ সেন, কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, অভিনেতা-ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। আ আরিয়ান অবশ্য ওইদিন রাতেই নিজের গাড়িতে বাড়ি ফিরে যান।
এদিকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ফেরেন ভিক্টো। অভিযোগ ওঠে, তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন ঋ ও শ্রিয়া। তারপরই ঠাকুরপুকুরে মদ্যপ ভিক্টো নিয়ন্ত্রণ হারান। প্রথমে তিনি একটি বাইকে ধাক্কা মারেন। তারপর ভরা বাজারে গাড়ি ঢুকিয়ে ফেলেন। এরপর সেখান থেকে পালাতে গিয়ে, একের পর এক পথচারীকে পিষে দিতে থাকেন তিনি। ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয় পরিচালককে। আটক করা হয়েছিল কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসুকে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্যান্ডি সাহা দাবি করেন, তিনি শুরুতে পরিচালকের গাড়িতে উঠলেও পরে নাকি নেমে গিয়ে ক্যাবে ফেরেন।