ওয়াশিংটনে নরেন্দ্র মোদীপ সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একদা বন্ধুরাষ্ট্র আমেরিকার থেকে ‘গালে এমন ভাবে থাপ্পড়’ খেয়ে তা হজম করতে পারছে না ইসলামাবাদ। এহেন পরিস্থিতিতে এবার তারা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিল। ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিকে ‘একতরফা, বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দিল পাকিস্তান। এরই সঙ্গে ইসলামাবাদের দাবি, ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিটি কূটনৈতিক বিধি লঙ্ঘনকারী।
উল্লেখ্য, মোদীর সফরালে মুম্বই হামলায় জড়িত তাহাউর রানার প্রত্যর্পণে অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই নিয়ে মোদীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ভারতের আদালতের সামনে দাঁড় করাতে (২৬/১১) মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী এবং বিশ্বের খুব খারাপ লোকের প্রত্যপর্ণে অনুমোদন দিয়েছে আমার প্রশাসন। ভয়াবহ মুম্বই জঙ্গি হামলায় ওর হাত আছে। আদালতের সামনে দাঁড়াতে ও ভারতে যাচ্ছে।’ এছাড়াও মোদী-ট্রাম্প যৌথ বিবৃতিতে মুম্বই হামলা ছাড়াও পাঠানকোট হামলা, সংসদ হামলার মতো ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয় এবং পাকিস্তানকে সীমান্তপার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়।
এই আবহে স্বভাবতই লজ্জায় মুখ লাল হয়েছে ইসলামাবাদের। এহেন পরিস্থিতিতে পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শফকত আলি খান বলেন, ‘ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানকে নিয়ে যা বলা হয়েছে, তা একতরফা, বিভ্রান্তিকর এবং কূটনৈতিক বিধি লঙ্ঘনকারী। আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি নিধন বোঝাপড়া সত্ত্বেও যৌথ বিবৃতিতে এহেন বক্তব্যে আমরা হতভম্ভ। এই বিবৃতি দিয়ে সন্ত্রাসবাদে ভারতের মদতের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তিদের জন্যে ভারত যে নিরাপদ আশ্রয়, সেই তথ্যও এই বিবৃতির মাধ্যমে মোছা যাবে না।’
এরই সঙ্গে মার্কিন-ভারত সামরিক বোঝাপড়া নিয়ে পাক মুখপাত্র বলেন, ‘যেভাবে ভারতকে পরিকল্পনামাফিক সামরিক প্রযুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তাতে পাকিস্তান খুবই উদ্বিগ্ন। এতে অঞ্চলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি অর্জনে এটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক পার্টনারদের প্রতি আবেদন করছি, তারা যেন বিষয়টিকে সার্বিক ভাবে দেখেন।’