Plastic Depositing In Body। হার্ট, ব্রেন, লিভার, ফুসফুস – সর্বত্র জমছে প্লাস্টিক!

Spread the love

Side Effects Of Plastic On Human Body: শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে যেমন ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে, তেমনই বাসা বাঁধছে প্লাস্টিক। লিভার, ফুসফুস, ব্রেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসার হতে পারে মানুষের। পরে সেই ক্যানসার কোশ শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে যেতে থাকে। এই অবস্থায় একজন রোগীকে সুস্থ করে তোলা কষ্টসাধ্য হয়। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, ক্যানসারের মতোই প্লাস্টিক সারা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। নবজাতকদের শরীরে এই প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে – হার্ট, লিভার, ফুসফুস, ব্রেন। সর্বত্র প্লাস্টিকময়।

কীভাবে শরীরে প্রবেশ করছে প্লাস্টিক?

সায়েন্স অব টোটাল এনভারনমেন্টে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি। সেখানে বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করছেন, মাইক্রো ও ন্য়ানোপ্লাস্টিক এই সমস্যার মূলে রয়েছে। এই দুই ধরনের প্লাস্টিক মানুষের ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যের পচনের মাধ্যমে তৈরি হয়। আনুবীক্ষণিক পর্যায়ে ভেঙে যায় এই প্লাস্টিক কণাগুলি। পরে সেগুলি প্রকৃতির জল, হাওয়াতে মিশে যায়। এবার নিশ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে সেগুলি। এছাড়াও, খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রচুর মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। 

কীভাবে ছড়াচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে?

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নবজাতকের শরীরে প্লাস্টিক প্রবেশ করছে মায়ের শরীর থেকেই। সাধারণত নাভিতে থাকা অ্যাম্বিলিকাল কর্ডের মাধ্যমে ভ্রুণের সঙ্গে মায়ের শরীর যুক্ত থাকে। এই কর্ড দিয়েই ভ্রুণ যাবতীয় পুষ্টি পায়। বিজ্ঞানীদের কথায়, রক্তের মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিশে গেলে তা কর্ডের মধ্যে দিয়েও পৌঁছে যেতে পারে ভ্রুণের শরীরে।

কী ক্ষতির আশঙ্কা?

সম্প্রতি প্রকাশিত এই গবেষণাটি ইঁদুরের উপর করা হয়। ইঁদুরের উপর যা প্রভাব পড়বে, মানুষের উপরেও কি তাই পড়তে পারে? গবেষকদের কথায়, প্রভাব পড়ার আশঙ্কা অতিমাত্রায় প্রবল। কারণ ইঁদুরের শরীরের কার্যক্রমের সঙ্গে মানুষের শরীরের কার্যক্রমের অনেকটাই মিল রয়েছে। ফুসফুস, লিভার, ব্রেন, হার্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে প্লাস্টিক থাকলে অঙ্গগুলির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কমে যেতে পারে। পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। তবে কী কী রোগের আশঙ্কা রয়েছে, তা এখনও খোলসা করেননি বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের তরফে জানানো হয়েছে, রোগের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *