Previous Toppers Result in NEET Re-test: ৭২০-তে ৭২০ পাওয়া ৬ জন দিয়েছিলেন নিট রি-টেস্ট

Spread the love

গত ২৩ জুন ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট-ইউজি পরীক্ষার রি-টেস্টে বসা প্রায় ৮০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেউই ফুল মার্কস পেলেন না এবারে। ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এবছরের পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ পেয়েছিলেন ৬৭ জন। তাঁদের মধ্যে আবার হরিয়ানার একই সেন্টারের ৬ জন ছিলেন। পরে জানা যায়, গ্রেস মার্কসের কারণে ফুল মার্কস পেয়েছিলেন এই ৬ নিট পরীক্ষার্থী। এই আবহে নিট-এর টপার সংখ্যা ৬৭ থেকে কমে ৬১-তে নেমে এসেছে।

দাবি করা হয়েছিল, পরীক্ষা শুরুতে দেরি হওয়ায় ১৫৬৩ পরীক্ষার্থীকে এবারে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল নিট পরীক্ষায়। অভিযোগ ওঠে, এই পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ১৪০ মার্কস পর্যন্ত গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে তাঁরা ৭২০ নম্বরে ৭২০ পেয়েছিলেন। পরে বিতর্কের আবহে সুপ্রিম কোর্টে এনটিএ জানায় সব গ্রেস মার্কস বাতিল করা হচ্ছে। যাদের গ্রেস মার্কস বাতিল করা হয়েছে, তাদের ফের একবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। এই আবহে ২৩ জুন ফের নিট ইউজি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর জন্যে। তাদের মধ্যে অবশ্য মাত্র ৫২ শতাংশ পরীক্ষার্থী ফের পরীক্ষায় বসেন ২৩ জুন।

পরীক্ষা দিয়েই আগের বারের এক টপার বলেছিলেন, তিনি কেমিস্ট্রির সব প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি। অপর এক ‘প্রাক্তন টপার’ বলেছিলেন, এবারের পরীক্ষা খুব চাপে থেকে দিয়েছি। তাই তা আমার আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলেছে। অন্য একজন আবার দাবি করেছিলেন, রি-টেস্টে পদার্থবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞানের প্রশ্নগুলি বেশ কঠিন ছিল। এদিকে অপর এক টপার জানিয়েছিলেন, তিনি ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি সেকশনে কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন। প্রয়োজনে পরের বছর ফের নিট ইউজি-তে বসবেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এরা কেউই এবার আর রি-টেস্টে ফুল মার্কস পাননি। তবে কে কত পেয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ৫ মে অনুষ্ঠিত নিট পরীক্ষা চলাকালীন সময় নষ্ট হওয়ার কারণে দেশ জুড়ে প্রায় ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য শীর্ষ আদালতে এনটিএ জানায়, গ্রেস মার্কস বাতিল করা হচ্ছে। বদলে গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জন পড়ুয়াকে নতুন করে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে। সেই পরীক্ষায় যারা বসবেন না, তাদের ক্ষেত্রে গ্রেস মার্কস ছাড়া প্রাপ্ত নম্বরই গণ্য করা হবে চূড়ান্ত হিসেবে। এই আবহে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ‘টপার’। আর পুনরায় পরীক্ষা দেওয়া সেই সব পরীক্ষার্থীদের কেউই আর ফুল মার্কস পেলেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *