উত্তরপ্রদেশের হাথরস(Hathras) জেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। শুক্রবার সকালে তিনি আলিগড়ে পৌঁছন। সেখানে শোকাহত বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মৃতদের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়েও জানার চেষ্টা করেন রাহুল(Rahul Gandhi)।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে আলিগড় রেঞ্জের পুলিশ আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, হাথরসের ওই ধর্মসভার আয়োজকদের ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও। তবে প্রধান অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকর এখনও পলাতক। দেবপ্রকাশ মধুকর ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের এফআইআর-এ নাম নেই সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার। অবশ্য, বৃহস্পতিবার তাঁর মৈনপুরীর আশ্রমে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
ভোলে বাবার আইনজীবী জানিয়েছেন, বাবাজি(Babaji) কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবেন। তাঁর দাবি, কিছু সমাজবিরোধীর ষড়যন্ত্রে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি চরণ ধূলি স্পর্শের বিষয়টিকে পুরোপুরি খণ্ডন করেছেন।উল্লেখ্য, হাথরসে ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১২১ জনের। মৃতদের বেশিরভাগই হলেন শিশু এবং মহিলা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার ‘চরণরাজ’ বা চরণধুলি স্পর্শ করতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা রয়েছেন ভোলে বাবা।
এদিকে শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল জানান, দলের মাধ্যমে কী কী ভাবে তাঁদের সাহায্য করা যায়, সেই সব দিকে তিনি নজর দেবেন। লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, মৃতদের পরিবার তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় প্রশাসনের কেউ উপস্থিত ছিল না সেথানে। এমনকী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও নাকি সেখানে চূড়ান্ত অব্যবস্থা ছিল।
এই আবহে আজ সকালে আলিগড়ের নবীপুর খুরদ এবং পিলখানা গ্রামে যান রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি মৃত শান্তি দেবী এবং মঞ্জু দেবীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে শান্তি ও মঞ্জু দেবীর পরিবারের সদস্যরা সংবাদসংস্থাকে জানান, রাহুল গান্ধী তাঁদের আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।