শুধু একটা গ্যাস কাটার! হ্যাঁ, ‘অপারেশনের সরঞ্জাম’ বলতে ছিল শুধু এটুকুই। আর সেই সরঞ্জাম ব্যবহার করেই অবলীলায় এটিএম কেটে, তার ভিতরে থেকে নগদ প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা ‘আপন’ করে নিল ‘করিৎকর্মা’ দুষ্কৃতীরা! পুরোটাই রেকর্ড হল সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনা সামনে আসতেই হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছে রাজস্থানের ঝুনঝুনু এলাকার ৩ নম্বর রাস্তা এলাকায়। এটিএম লুটের ঘটনাটি ঘটেছে এখানেই, প্রধান সড়কের একেবারে পাশে!
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার ভোররাতে – ৩টে বেজে ১১টা মিনিট নাগাদ এই লুটপাট হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাস কাটারের সাহায্যে এটিএম-এর বাইরের ধাতব পাত কাটার পর ভিতরে টাকার আস্ত ‘ক্যাশ ট্রে’টিই সবশুদ্ধ বের করে আনে দুষ্কৃতীরা। তারপর সেটি সেখানেই ফেলে রেখে যতগুলো সম্ভব নোটের বান্ডিল সঙ্গে করে নিয়ে চলে যায় তারা!
স্থানীয় কোতোয়ালি থানার আধিকারিক নারায়ণ সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে ১৫ মার্চ ভোররাতে। আর, তার ঠিক দু’দিন আগে – গত ১৩ মার্চ দুপুর ১টা নাগাদ ওই এটিএম-এ মোটা অঙ্কের নগদ ভরা হয়েছিল। সেই টাকা ভরার পর ওই এটিএম-এ থাকা মোট নগদের পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ৩৯ লক্ষ টাকার কিছু বেশি।
তারপর থেকে দু’দিনে মাত্র ১ লক্ষ টাকার মতো গ্রাহকরা ওই এটিএম থেকে তুলেছিলেন। বাকি ৩৮ লক্ষ টাকা তখনও মেশিনের ভিতরেই ‘সুরক্ষিত’ ছিল। চোরের দল সেই সমস্ত নগদ লুট করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এটিএম-এর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। তাতে দেখা গিয়েছে, সাদা রঙের একটি চারচাকা গাড়িতে চড়ে অকুস্থলে পৌঁছেছিল দুষ্কৃতীরা। গাড়িটি এসেছিল গুধা মোড়ের দিক থেকে।
গাড়িটি একেবারে এটিএম-এর দরজার সামনেই দাঁড় করিয়েছিল তারা। সেটি প্রায় ১০-১২ মিনিট সেখানেই দাঁড় করানো ছিল। তার মধ্যেই অপারেশন সেরে নিয়ে, তারপর ওই গাড়িতেই চম্পট দেয় তারা। লুটের পর তাদের গাড়িটিকে বাগাড় রোডের দিকে যেতে দেখা যায়।
পুলিশ সূত্রে আও জানা গিয়েছে, যেহেতু চোরের দল এটিএম-এর বাইরের ধাতব অংশ কাটার জন্য গ্যাস কাটার ব্যবহার করেছিল, তার ফলে দু’বান্ডিল নোট পুড়েও যায়! সেগুলি সবই ছিল ১০০ টাকার নোট। চোরের দল সেই পোড়া টাকার বান্ডিল আর সঙ্গে করে নিয়ে যায়নি। ঘটনাস্থলেই ফেলে রেখে গিয়েছে।
এছাড়াও, দুষ্কৃতীরা যখন ক্যাশ ট্রে বের করছিল, সেই সময়ে এটিএম-এর ভিতরেই ১০০ টাকার নোটের আরও তিনটি বান্ডিল আটকে যায়। ফলে, সেগুলিও সেখানেই পড়ে থাকে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লুট হওয়া টাকার অধিকাংশই ৫০০ এবং ১০০ টাকার নোট।