অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ টেস্টের ৯টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১টি সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। পার্থের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট। তবে আর একটিও ইনিংসে বড় রানের মুখ দেখেননি তিনি। বাকি ৮টি ইনিংসে কোহলির ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ৫, ৭, ১১, ৩, ৩৬, ৫, ১৭ ও ৬ রান।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ৮টি ইনিংসেই কোহলি আউট হয়েছেন অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে। তিনি হয় স্লিপ ফিল্ডারের হাতে, নতুবা উইকেটকিপারের দস্তানায় ধরা দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। বিরাটের একইভাবে আউট হওয়ার ধরণ দেখে তাঁর টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমনকি অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে কোহলির দুর্বলতা রয়েছে বলে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায় সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যেও।
এমন পরিস্থিতিতে কোহলি দিল্লির হয়ে রঞ্জির ট্রফির ম্যাচে মাঠে নামে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে। এই ম্য়াচেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন তিনি। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের ১টি ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ হয় কোহলির। তিমি ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ৬ রান করে বোল্ড হন। বিরাটের অফ-স্টাম্প ছিটকে দেন হিমাংশু সাঙ্গওয়ান।
কোহলির এই উইকেট প্রসঙ্গে রেলের পেসার হিমাংশু খোলামেলা আলোচনা করেন হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে। তিনি জানান যে, টিম বাসের চালকও তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন কীভাবে বিরাটকে আউট করা যাবে। তাঁর সতীর্থদের কাছ থেকেও বিস্তুর পরামর্শ পেয়েছেন বলে জানান সাঙ্গওয়ান। তবে তিনি যে লোকের কথা না শুনে নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করে সাফল্যে পেয়েছেন, সেটাও জানাতে ভোলেননি হিমাংশু।
সঙ্গাওয়ান বলেন, ‘ম্যাচের আগে শোনা যাচ্ছিল যে বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্ত দিল্লির হয়ে মাঠে নামতে পারে। সেই সময় আমরা জানতাম না ম্যাচ টিভিতে সরাসরি দেখানো হবে। পরে জানতে পারি, পন্ত খেলবে না তবে বিরাট মাঠে নামবে এবং ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। আমি রেলওয়েজের প্রথম সারির পেসার। তাই সতীর্থরা সবাই বলে যে, তাদের ধারণা আমিই কোহলির উইকেট নেব।’
হিমাংশু আরও বলেন, ‘এমনকি যে বাসে করে আমরা যাওয়া-আসা করছিলাম, তার ড্রাইভারও আমাকে বলে যে, কোহলির উইকেট পাওয়ার জন্য আমার চতুর্থ-পঞ্চাম স্টাম্পে বল রাখা উচিত। তাহলেই নাকি বিরাট উইকেট দেবে। আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। আমি কারও দুর্বলতার কথা বিবেচনার করার থেকে নিজের শক্তির অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি। সেই মতো আমি নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করি এবং উইকেট আসে।