সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে তুমুল অশান্তি ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদে। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? কারা ছিল এর পেছনে? এনিয়ে কোর্টে রিপোর্ট জমা করেছে রাজ্য় সরকার। কী আছে সেই রিপোর্টে?
সিএনএন নিউজ ১৮ এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ৮-১০ হাজার লোক জড়ো হয়েছিল ৮ এপ্রিল, তারা ওমরপুরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এরপর তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল। কিন্তু তারা পুলিশের কথা শুনছিলেন না। এরপর তারা পুলিশকে লাঠি, হাঁসুয়া, প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো শুরু করে। তারা পুলিশকে খুন করার ছক কষেছিল।
এদিকে সামসেরগঞ্জে প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে জড়ো হচ্ছিলেন। পুরনো ডাকবাংলো এলাকায় জড়ো হচ্ছিল তারা। এরপর তারা স্লোগান দিতে শুরু করে ও রাস্তা অবরোধ করে। এরপর ওসি সামসেরগঞ্জ ১৫জন অফিসার ও ৩০জন কনস্টেবল নিয়ে এলাকায় যান। কিন্তু ট্রাফিকের অত্যন্ত সমস্যা ছিল। এরপর এসডিপিও ফরাক্কা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনর চেষ্টা করেন। এরপর জনতা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশের দিকে। মাইকিং করা হয়েছিল।
এদিকে উল্লেখ করা হয়েছে যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে এটা আঁচ করে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য সামসেরগঞ্জে। এরপর বিএসএফ ঘটনাস্থলে যায়।
সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল কেন্দ্রের বাহিনী মোতায়েনের জন্য। এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অশান্তির পরে সেই বিএসএফের উপরই ভয়াবহ অভিযোগ করেছিলেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী। এমনকী মুখ্য়মন্ত্রী বার বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর দায় চাপাচ্ছেন।
টাইমস নেটওয়ার্কের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল থেকেই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ ও অহিংস ছিল। ৮ এপ্রিল রঘুনাথগঞ্জ থানার পিডব্লিউ গ্রাউন্ডে একটা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
কী হয়েছিল সেখানে?
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে লাঠি, হাঁসুয়া, লোহার রড, প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। তাদের ছক ছিল পুলিশকে খুন করা। এসডিপিও জঙ্গিপুরের গ্লক পিস্তলও ছিনতাই করেছিল তারা।
এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে সেদিন একেবারে পরিকল্পনা করে এসেছিল বিক্ষোভকারীরা। সরকারি রিপোর্টেও তার বড় ইঙ্গিত। কেন তারা বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিল লাঠি, হাঁসুয়া, লোহার রড, প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে। তাদের ছক কি ছিল? এমনকী সেদিন পুলিশকে খুন করার চক্রান্তও তারা করেছিল। একেবারে বিস্ফোরক রিপোর্ট।