RG করের ঘটনার প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠলেন টেলি তারকারা

Spread the love

আরজি কর কাণ্ডে গোটা রাজ্য এখন ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন রাজ্যবাসী। শুরু থেকেই এই ঘটনায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন বিনোদন দুনিয়ার তারকারা। গত ১৮ অগস্ট, রবিবার আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন বড়পর্দার তারকারা। আর আজ ২৫ অগস্ট, রবিবার প্রতিবাদে মিছিল করলেন ছোটপর্দার শিল্পীরা।

এদিন সন্ধ্যে ৬টায় ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে জমায়েত করেন টেলি তারকারা। এরপর সেখান থেকে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত চলে মিছিল। এদিন We Want Justice স্লোগান তুলে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়, টেলি তারকাদের। মিছিলে হাঁটার সময় অনেকের হাতেই ছিল পোস্টার। আর তার কোনটিতে লেখা ছিল ‘মাছ ঢাকতে খুঁজছো শাক, তিলোত্তমা বিচার পাক।’ আবার কোনটিতে শুধুই লেখা ছিল, ‘ছিঃ’, কোনও পোস্টার আবার লেখা ছিল ‘ধিক্কার’। 

টেলি তারকাদের এই মিছিলে ছিল বহু পরিচিত মুখ। সিনেমাপাড়ার মিছিলের পর এদিন টেলি তারকাদের মিছিলেও সামিল হয়েছিলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় মুখোপাধ্যায়, ছিলেন মানসী সিনহা, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রুকমা রায়, ইন্দ্রনীল মল্লিক, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জনা বসু, শ্রুতি দাস সহ বহু জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের। তাঁদের আবার অনেককেই স্লোগান তুলতে দেখা গেল, ‘বিচার চাইছে জনতা, উত্তর দাও ক্ষমতা’। মিছিলের ভিডিয়ো উঠে এসেছে টলি অনলাইনের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।

এদিন মিছিল থেকে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘রাজ্যের সিএম একজন মহিলা। মা, মাটি মানুষ, সেখানে মানুষ হিসাবে মা ন্যায় করবেন, এবং কোথাও গিয়ে বিচার সঠিক হবে। সবকিছু ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। আমরা যাঁরা পড়াশোনা জানি না, এক্কেবারে বোকা, তারাও জানি কী হয়েছে। তাই আর লুকোনো যাবে না। আমাদের ন্যায় চাই। আমরা প্রত্যেকে পথে নামছি। এটা বন্ধ হবে না, যতক্ষণ না সঠিক বিচার হবে।’

এদিকে আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৬ দিন পার হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মুহূর্তে ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে CBI-এর হাতে। আরজি কর মামলার জট খুলতে আপতত পলিগ্রাফ টেস্টে ভরসা রাখছে সিবিআই। রবিবার চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেছে সিবিআই। সঞ্জয় রায়, সন্দীপ ঘোষ-সহ সাতজনের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে। তার অনুমতিও দিয়েছে শিয়ালদা কোর্ট।

অন্যদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বেও রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিকে হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *