RG Kar Case: প্ল্যানচেট করে আরজি করের নির্যাতিতার আত্মা ডেকে বিপাকে ইউটিউবার

Spread the love

অগস্ট পেরিয়ে সেপ্টেম্বর…২৪ দিন পরেও অধরা সমাধানসূত্র। আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুমে কী ঘটেছিল ৯ই অগস্ট ভোররাতে? কে বা কারা নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করল ৩১ বছরের ওই চিকিৎসক তরুণীকে? এই প্রশ্নের উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছে সিবিআই। ৫ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম শুনানির দিকে তাকিয়ে সকলে। 

তদন্তের গতিপথ নিয়ে যেমন মানুষ একদম অজ্ঞ, প্রতিবাদমুখর সকলে পথে নেমে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তেমনই একশ্রেণির মানুষ এই ঘটনা নিয়ে রঙ্গ-উপহাস চালিয়ে যাচ্ছেন। যাদের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান সোশ্যাল মিডিয়া ভিউজ এবং সেখান থেকে আসা অর্থ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান রিলসের ছড়াছড়ি তো ছিলই, সাম্প্রতিক সংযোজন নির্যাতাতির ‘আত্মা’কে হাজির করিয়ে নেওয়া সাক্ষাৎকার। 

বেশকিছু ইউটিউব চ্যানেলে এমন ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে ইউটিউবার প্ল্যানচেট করে নির্যাতিতার আত্মাকে ডেকেছেন বলে ওই ভিডিয়োতে দাবি করছেন। বইয়ের পাতায়, হরর-সিনেমায় প্রেতবৈঠক পড়তে-দেখতে অভ্যস্ত রোমাঞ্চ প্রিয় বাঙালি। কিন্তু এমন একটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে এই ধরণের ছেলেখেলা মোটেই বরদাস্ত হচ্ছে না কারুর। অথচ সেই ভিডিয়ো নিমেষে লাখ লাখ মানুষ দেখছেন। 

বিতর্কের মুখে থাকা ইউটিউবারের দাবি, ৯ই অগস্ট রাতে আরজি করে কী ঘটেছিল জানিয়েছে নির্যাতিতার আত্মা। ওই হাসপাতালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই আত্মা, এই ভিডিয়ো বিজ্ঞানমনস্কদের চোখে ‘বুজরুকি’ বাদে আর কিছুই নয়। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী মঞ্চ এই ধরণের ভিডিয়োর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। সত্যি যদি কেউ আত্মা হাজির করে সবটা বলে দিতে পারে, তাহলে তো এই তদন্ত, এত আন্দোলনের দরকার নেই। পালটা যুক্তি তাঁদের। 

ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী মঞ্চের তরফে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে খুন ও ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ইয়ার্কি চলতে দেওয়া যেতে পারে না। সমাজে বাবাজি, মাতাজি, ফকির-পীরের সংখ্যা কম নয়। পাশাপাশি অনেকেই নিজেদের প্যারানর্ম্যাল বিশেষজ্ঞ বলেও দাবি করে থাকেন। যারা প্ল্যানচেট করে প্রেতাত্মার সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য ৫০ লাখের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিজ্ঞান ও যুক্তবাদী মঞ্চ। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মণীশ রায়চৌধুরী সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মোবাইলে ভিডিয়ো করে কী লাভ? যাঁরা আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর আত্মার সঙ্গে কথা বলার দাবি করছেন তারা সামনে আসুক। আমাদের সমিতির সদস্যের সামনে প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে প্রকাশ করুক খুনীদের নাম। তাহলেই ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার মিলবে। আর না পারলে মেনে নিক এগুলো স্রেফ বুজরুকি, লোক ঠকানোর কায়দা মাত্র’। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *