সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে আরজি করের ওই ঘটনাস্থলে( সেমিনার রুমে) ঘটনার পরে একেবারে থিকথিক করছে লোকজন। আর তার মধ্য়ে অনেকেই রয়েছেন যারা তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এত ভয়াবহ খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরেও কেন পুলিশ সবার আগে সেই জায়গায় যাতে কেউ না যায় সেটা আটকানোর চেষ্টা করল না? দরজা বন্ধ করলেই তো আটকানো যেত? সেটা কি ইচ্ছে করে আটকানো হল না? সেই সেমিনার হলে লোকজন ঢুকিয়ে যাতে সব প্রমাণকে লোপাট করা যায় সেটাই কি উদ্দেশ্য ছিল?
নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এনিয়ে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি একটি পোস্ট করেছেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছেন, দেবাশিস সোম, ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্য়াপক, প্রসূন চট্টোপাধ্য়ায়, শান্তনু দে সহ একাধিক লোকজন সেমিনার রুমে কী করছিল? ফরেনসিক তথ্য লোপাটের চেষ্টা? ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে কারো যাওয়ার কথা নয় কিন্তু এরা গেল কী করে? পুলিশ আটকালো না কেন? প্রশ্ন তুলেছেন তরুণজ্যোতি। প্রশ্ন তুলেছেন তরুণজ্যোতির মতো অনেকেই।
আরজি করের সেমিনার হলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ পড়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু তারপর পুলিশ ঘটনার কথা জানতে পারে। পুলিশের পদস্থ কর্তারা সেদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেমিনার রুমে অত মানুষ গেলেন কীভাবে?
তবে কি পুরোটাই ছিল পরিকল্পনার অঙ্গ? প্রথম দিকে লোকজন ঢুকিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! তারপর সেমিনার রুমের বাইরে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার অনুমতি কে দিল সেই প্রশ্নেরও যথাযথ মেলেনি। তবে একটা বিষয় অন্তত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, ঘটনার পরে এত মানুষ সেমিনার রুমে অবলীলায় যেতে পেরেছিলেন। কিন্তু নিজের মেয়ের দেহের কাছে যেতে দিতে দেওয়া হচ্ছিল না তাঁদের?
এই ভিডিয়ো দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। পুলিশের সামনেই একেবারে থিকথিক করছে ভি়ড়। এমনকী বহিরাগতরা ভিড় করেছিলেন সেমিনার হলের ভেতরে। কিন্তু পুলিশ তো জেনে গিয়েছিল ওখানে দেহ পড়েছিল। তারপর কেন এভাবে মেলার মতো ভিড় করার অনুমতি দেওয়া হল? এমনকী বহিরাগতরাও দলে দলে গিয়েছিলেন সেই সেমিনার রুমে। কেন তাদের আটকানো হল না? এক আইনজীবীও গিয়েছিলেন সেমিনার হলে। কিন্তু তিনি ওখানে কী করছিলেন? তবে কী পরামর্শের জন্য তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল?