আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের উপর নানা মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। তবে এখনই প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরতে চাইছেন না তাঁরা। তবে সেই সঙ্গেই রোগীদের পরিষেবা যাতে অন্যভাবে দেওয়া যায় সেকারণে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবার তাঁদের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে টেলি মেডিসিন পরিষেবা। অর্থাৎ ফোনের মাধ্যমে তাঁরা পরিষেবা দেবেন। সেকারণে নির্দিষ্ট হোয়াটস অ্যাপ নম্বর তাঁরা দিয়েছেন।
সেই নম্বরগুলি হল, 8777565251, 8777569399, 8777579517, 6290326079 এই হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে টেলি মেডিসিন পরিষেবা মিলবে। প্রয়োজনে এই নম্বরে ফোন করে টেলিমেডিসিন পরিষবা পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে শাসকদলের একাংশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে নানা সময়ে যে সমস্ত কটাক্ষ করা হয়েছে সেই কটাক্ষেরও এবার মোক্ষম জবাব দিলেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আমাদের ৫ দফা দাবির একটাও পূরণ হয়নি। সেকারণে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। তবে কাল থেকে আমরা টেলিমেডিসিন পরিষবা চালু করছি। চালু করা হচ্ছে অভয়া ক্লিনিক। প্রতিদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত দুপুর ২টো পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে। হোয়াটস অ্যার নম্বর আমরা দিচ্ছি। সেখানে আপনারা পরিষেবা পাবেন। পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছি। প্রয়োজনে তাঁকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
আমরা লালবাজার অভিযানে নামব। দীর্ঘদিন ধরে তদন্তের কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় আমাদের মনে হয়েছে আমরা অবিচারের অন্ধকারে ডুবে রয়েছি। আগামী ৫ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আছি। সুবিচারের আশায় আগামী ৪ তারিখ বিচার পেতে আলোর পথে কর্মসূচি পালন করুন। ওই দিন রাত ৯টা থেকে ১০টা অবধি ঘরের আলো বন্ধ রেখে মোমবাতি বা প্রদীপ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসুন। মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করুন। আর জি কর কাণ্ডের ন্যায় বিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে যাতে সকলেই দাঁড়ান সেই আহ্বান তাঁরা জানিয়েছেন।
রোগীদের প্রতি তাঁরা যে দায়বদ্ধ সেটাও কার্যত এবার বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গেই আন্দোলনটা চালিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত সেটাও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন, ২রা সেপ্টেম্বর তাঁরা লালবাজার অভিযান করবেন। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানে সকলকে শামিল হওয়ার জন্য় বলা হয়েছে।