আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই চার্জ গঠন করেছে সিবিআই। সেই চার্জশিটে আপাতত আছে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়ের নাম। তবে ঘটনায় অন্য আর কেউ যে জড়িত নয়, তা বলছে না সিবিআই। বরং সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছে, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অন্য কারও জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মাঝে এবার সিবিআইয়ের নজরে দুই জুনিয়র ডাক্তার।
আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৮ অগস্ট দুপুর থেকে ৯ অগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আরজি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগেরই দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে ৩০ বারেরও বেশি ফোনে কথা বলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই আবহে সিবিআইয়ের নজরে পড়েছে সেই ফোনালাপ। এদিকে এই দুই জুনিয়র ডাক্তার এবং সন্দীপের মধ্যে নাকি কনফারেন্স কলও হয়েছিল।
এদিকে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতারই বিভাগের যে দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে সন্দীপ ৩০ বার ফোনে কথা বলেছে, তাঁদের দু’জনকে তলব করে জেরা করেছে সিবিআই। এমনকী সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে সেই দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই দুই জুনিয়র ডাক্তারের ডিউটি রস্টার বদল করা হয়েছিল ৭ অগস্ট।
এদিকে তদন্তে নাকি সিবিআই জানতে পেরেছে, যে দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে সন্দীপের ৩০ বার ফোনে কথা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে নির্যাতিতার সম্পর্ক বেশি ভালো ছিল না। এই নিয়ে খুন হওয়া চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সহপাঠী, হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেখান থেকেই নাকি এই তথ্য জানা গিয়েছে।