RG Kar Doctor Rape and Murder Update। মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান আরজি করের নির্যাতিতার মা

Spread the love

এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর(Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করতে চান আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মা। মূলত প্রকৃত বিচারের দাবিতে তিনি দেখা করতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। নারী দিবসে তিনি তাঁর ইচ্ছার কথা জানালেন। তিনি জানিয়েছেন আমার মেয়েটা চাইত ডাক্তার হতে। কিন্তু তার নামটাই মুছে দেওয়া হচ্ছে। অপরাধীরা আরজি করে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমার মেয়ে ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। তার নামটাই মুছে যাচ্ছে। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি।

এনিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তিলোত্তমার মা যদি যেতে চান যাবেন। তিলোত্তমার মায়ের অধিকার আছে কারোর সঙ্গে দেখা করার। আজকের এই দিনে আমি তাঁকেও শ্রদ্ধা জানাব।

এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা মা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি সেই সময়। তবে গত বছরের নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেছিলেন বলে খবর। এর জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী সেই সময় অমিত শাহ তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথাও জানিয়েছিলেন।

মূলত যখন কলকাতা সফরে এসেছিলেন শাহ তখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন নির্যাতিতার মা বাবা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি সেই সময়। দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন শাহ। তবে পরে অবশ্য় শাহ ফোন করেছিলেন নির্যাতিতার বাবাকে বলে খবর।

এবার খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান নির্যাতিতার মা বাবা। নারী দিবসে সেই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তাঁর মা। তবে বিজেপি নেতৃত্বও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

এদিকে এর আগে আরজি কর ইস্যুতে বিধানসভায় মুখ খুলেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলা ভালো আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি না হওয়া প্রসঙ্গে বিধানসভায় মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

তিনি বিধানসভায় বলেছিলেন, ‘মানুষ মরে গেলে চেপে দিচ্ছে। ধর্ষণ হলে এফআইআর নিচ্ছে না। আরজি করে মেয়েটা খুন হয়ে গেল ফাঁসি হল না। বলছে আমরা মৃত্যুদণ্ড চাই না। কী চাও! এটা আপনাদের বুঝতে হবে আজকের দিনে সোশ্য়াল মিডিয়া বাচ্চাদের হাতে পড়ে। আগে ১৮ বছর বয়স না হলে বাচ্চারা কিছু দেখতে পারত না। এখন বাচ্চারা সবটা দেখতে পায়। এখন বাচ্চারা সবটা দেখতে পায়। এত ক্রাইম বাড়ছে কেন কারণ এটাও একটা উলটো পালটা যে সমস্ত ছাড়া হয়। বোঝা উচিত এটা বাজে। এটার এফেক্ট পড়বে। সেটা কেউ ভাবে না। সেকারণে আমরা বলেছিলাম যারা এসব কাজ করবে তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড। …আপনারা কোন কেসটা সলভ করেছেন…বিলকিস বেগম থেকে শুরু করে একটার পর একটা…’

প্রসঙ্গত আরজি করে ধর্ষণ ও খুন হয়েছিলেন এক তরুণী চিকিৎসক। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *