একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছেন তাঁরা। সেই কৃতী কন্যাকে হারানোর সঙ্গে-সঙ্গেই হারিয়ে গিয়েছে তাঁকে ঘিরে তিল তিল করে গড়ে তোলা সমস্ত স্বপ্ন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ, ২০২৫) আরজি করের(Rgkar) কয়েকজন নার্সকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর, শুক্রবার (২১ মার্চ, ২০২৫) কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল একই কারণে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই দুই দফায় যাঁদের তলব করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই ঘটনার দিন আরজি করে ডিউটিতে ছিলেন।
এই তালিকারই একজন হলেন অমিত নামে এক যুবক। এদিন সিবিআই-এর গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হওয়ার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোতেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন তিনি। টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অমিত জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে ট্রমা কেয়ারে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। সেই ট্রমা কেয়ার, যেখানে সেই রাতে গিয়েছিল সঞ্জয় রায়। যাকে ইতিমধ্যেই তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত।
অমিত জানান, আগেও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু, এদিন আবার ডাকা হয়েছিল। তাই তিনি এসেছিলেন। অমিতের কথায়, আগের জিজ্ঞাসাবাদে ‘কিছু ফাঁকফোকর’ ছিল! আবার তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ‘ফাঁকফোকর ছিল বলতে আরও ডিটেইলসে জানার প্রয়োজন ছিল!’
যদিও তিনি আরও জানান, আগে তাঁকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছিল, এদিন তার সঙ্গে আরও অনেক নতুন প্রশ্নও করা হয়। সেই রাতে সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি কী ছিল, তা নিয়েও নতুন করে অমিতকে প্রশ্ন করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।